দেশে আরও ৫১ জনের মৃত্যু, কমেছে রোগী শনাক্তের হার

নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : করোনা সংক্রমণে দেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল আটটা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল আটটা) ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৮৬২ জন।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় রোগী শনাক্তের সংখ্যা কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে শনাক্তের হারও। গতকালও ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, আগের ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৯০১ জন। আর রোগী শনাক্তের হার ছিল ৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এ সময় ৩১ হাজার ১৪৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

কোনো দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে কি না, তা বুঝতে রোগী শনাক্তের হার বিবেচনায় নেওয়া হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা হয়।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রামে মারা গেছে ৮ জন। বাকিরা অন্যান্য বিভাগের। গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ, নারী ২৬ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সব মিলিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ২০৩। দেশে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ১০৯ জনের। আর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ৯০ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৫৪৯ জন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এরপর বিভিন্ন সময়ে সংক্রমণ কমবেশি হলেও গত জুন থেকে করোনার ডেলটা ধরনের দাপটে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ে।

দুই মাসের বেশি সময় ধরে করোনার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকে। এর মধ্যে আগস্টে দেশে করোনার গণ টিকাদান শুরু হয়। গত মাসের শেষ দিকেই দেশে করোনা সংক্রমণ ও এতে মৃত্যু কমতে শুরু করে।

করোনার তথ্য হালনাগাদকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্যমতে আজ বিকেল পৌনে ছয়টা পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় ৪৬ লাখ ৭৫ হাজার ৫২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা শনাক্ত হয়েছে ২২ কোটি ৭৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬২৩ জনের। সুস্থ হয়েছে ২০ কোটি ৪০ লাখ ৬১ হাজার ৫২৭ জন।

Share