নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯৮ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ২০২ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৬৫ জনে।
আজ শুক্রবার (১৫ মে) দুপুরে রাজধানীর মহাখালিস্থ স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান। গতকাল বৃহষ্পতিবার ১ হাজার ৪১ জন নতুন শনাক্তের এবং ১৪ জনের মারা যাওয়ার কথা জানানো হয়েছিল।
গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৭৯ জন। এ পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৮৮২ জন সুস্থ হয়ে ওঠার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৯ হাজার ৫৩৯টি, আর পরীক্ষা করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৮২টি নমুনা। দেশের ৪১টি ল্যাবে এ পরীক্ষা হয়েছে।
গত একদিনে যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের বয়স ভিত্তিক পর্যালোচনা ও এলাকার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে তাদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ, ৮ জন নারী। এই ১৫ জনের মধ্যে ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ৮ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৩ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, এবং ২ জনের বয়স ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে।
বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ২৫৯ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২ হাজার ৭৪৮ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৮১ জন, এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ১ হাজার ৪৭৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ২ হাজার ৭৯৭ জনকে। এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৩৩ হাজার ৪৭০ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন ২ হাজার ৬ জন, এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ১ লাখ ৮৬ হাজার ৬৬৫ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪৬ হাজার ৮০৫ জন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানান ডা. নাসিমা সুলতানা। ধূমপায়ীরা করোনা ভাইরাসের অত্যাধিক ঝুঁকিতে আছে জানিয়ে সবাইকে ধূমপান ত্যাগ করার পরামর্শ দেন তিনি।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্তের ঘোষণা আসে। আর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর প্রথম থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা বেড়ে মোট ৩ লাখ ২ হাজার ৪৬২ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার ৭৯৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনা ভাইরাসে বিশ্বে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ ভাইরাসে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৫ হাজার ১৯৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এরপরের অবস্থানে থাকা ব্রিটেনে মৃতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ৬১৪ জনে, ইতালিতে ৩১ হাজার ৩৬৮ জনে, ফ্রান্সে ২৭ হাজার ৪২৫ জনে এবং স্পেনে ২৭ হাজার ৩২১ জনে দাঁড়িয়েছে।
