নয়াবার্তা প্রতিবেদক : মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করায় খুলনার দৌলতপুর ডিগ্রী কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এবং অধ্যক্ষকে আদালত তলব করেছেন।একই সাথে তাদেরকে কেন আদালত অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত করা হবেনা সেই মর্মে কারণ দর্শাতে নির্দেশ দিয়েছেন। গত ১ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও কাজী মোঃ ইজারুল হক আকন্দ এর সমন্বয়ে গঠিত মহামান্য হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
রিটকারীর আইনজীবী মোঃ শামসুল হক জানান, বর্ণিত কলেজের শিক্ষক মোল্লা মিজানুর রহমানকে কলেজ কর্তৃপক্ষ ২০১৭ ইং সালের নভেম্বর মাসে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন।কলেজ কর্তৃপক্ষ সম্পুর্ণ বেআইনীভাবে গত কয়েক বছর যাবৎ এই বরখাস্তের আদেশ ঝুলিয়ে রাখায় মোল্লা মিজানুর রহমান মহামান্য হাইকের্টে ৩৫০২/২০২২ নং রিট মোকাদ্দমা দায়ের করেন।মহামান্য হাইকোর্টের উল্লেখিত দ্বৈত বেঞ্চ গত ১৮ এপ্রিল রিটটি শুনানী অন্তে “রিটকারীর সাময়িকভাবে বরখাস্তের আদেশকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবেনা তা জানতে চেয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কলেজ পরিদর্শক এবং খুলনার দৌলতপুর ডিগ্রী কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও অধ্যক্ষকের প্রতি রুলনিশি জারি করেন।একই সাথে আদালত অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দ্বারা রিটকারীকে সম্পুর্ণ বেতন ভাতা প্রদাণের জন্য শিক্ষা সচিব, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কলেজ পরিদর্শক এবং খুলনার দৌলতপুর ডিগ্রী কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও অধ্যক্ষকে নির্দেশ দেন।অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের অনুলিপি পাওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়নের জন্য খুলনার দৌলতপুর ডিগ্রী কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও অধ্যক্ষকে নির্দেশ দেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ এই নির্দেশ এবং মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করায় রিটকারী বর্ণিত দ্বৈত বেঞ্চে ৩২১/২০২২ নং আদালত অবমাননার মোকাদ্দমা দায়ের করেন। মহামান্য হাইকোর্ট আগামী ধার্য তারিখে খুলনার দৌলতপুর ডিগ্রী কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও অধ্যক্ষকে সকাল সাড়ে ১০ টায় স্বশরীরে আদালতে হাজির হবার নির্দেশ দিয়েছেন।