ধর্ষিতার লাথিতে ধর্ষক ঘটকের মৃত্যু, ধর্ষিতা কারাগারে

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় এক ধর্ষিতার লাথিতে ধর্ষক ঘটকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আদালত ধর্ষিতাকে কারাগারে পাঠিয়েছে। আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সামরুল হোসেন (পিবিআই) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সামরুল হোসেন বলেন, ১৪ জুন বিকালে বাড়ির কাউকে না জানিয়ে বের হন ঘটক লোকমান হোসেন। বৃহস্পতিবার পূর্ব দিঘুলিয়া আয়নাল হকের কৃষিজমিতে তার লাশ পাওয়া যায়। মানিকগঞ্জ (পিবিআই) টিম ছায়া তদন্ত করে স্থানীয় এক পাত্রীর মাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি প্রাথমিকভাবে হত্যার দায় ও কারণ স্বীকার করেছেন।

পাত্রীর মা পুলিশকে জানান, মেয়ে বিয়ে দেওয়ার সুযোগ নিয়ে লোকমান তার সঙ্গে তিন মাস মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন। এভাবে ঘটক তার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। বুধবার রাতে পুকুরপাড়ে নিয়ে ঘটক তাকে ধর্ষণ করে। এ কারণে তিনি তাকে লাথি মারেন। লাথি শরীরের স্পর্শকাতর অংশে লাগায় লোকমান অচেতন হয়ে পড়েন। তখন তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেও তিনি বাঁচাতে পারেননি।

সামরুল হোসেন বলেন, লাথিতে ধর্ষক ঘটকের মৃত্যু হয়েছে বলে পাত্রীর মা প্রাথমিকভাবে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। মানিকগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল আদালত পাত্রীর মাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, ১৫ জুন উপজেলার দিঘুলিয়া ইউনিয়নের পূর্ব দিঘুলিয়া আয়নাল হকের কৃষিজমিতে লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। সাটুরিয়া থানা পুলিশে খবর দেওয়া হলে সুরতহাল শেষে লাশ উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়। নিহত লোকমান হোসেন টাঙ্গাইলের নাগরপুরের আউটপাড়া গ্রামের মৃত ফটিক আলির ছেলে।

Share