নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে মানববন্ধন করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বিভিন্ন সংগঠন এবং সাধারণ মানুষ অংশ নেয়। প্রতিবাদকারীরা এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের সর্বোচ্চ সাজার দাবি জানান। তাঁরা বলেন, খুন-ধর্ষণ এখন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘটনা ঘটার পর বিচার না হওয়া বা বিচারে দীর্ঘসূত্রতার কারণে অপরাধীরা আরও বেপরোয়া উঠছে বলে অভিযোগ করা হয়। ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগ’ ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে মানববন্ধন
আয়োজকেরা এই প্রতিবাদ কর্মসূচি আয়োজন ও এতে সবাইকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফেসবুক পোস্টে বলেছে, হ্যাঁ, কন্যাটি পরপারে চলে গিয়েছে! মৃত্যুশয্যায় কন্যাটির বক্তব্য ও তার শোবার ঘরে পাওয়া চিঠি বলছে, কন্যাটিকে পরিকল্পিতভাবে ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা গং আগুন দিয়ে হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ডকে জায়েজ করার জন্য স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও পুলিশের ভূমিকা নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য। এই হত্যাযজ্ঞের আয়োজক সিরাজুদ্দৌলা গং ও এরপক্ষে সাফাই গাওয়া স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং পুলিশি ভূমিকার প্রতিবাদে আপনার ঘৃণা উগরে দেওয়ার জন্য প্রতিবাদে শামিল হোন। আপনার প্রতিবাদই কন্যা নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পারবে।
৬ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি পরীক্ষা দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা তাঁর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই দিন রাতে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে নুসরাত জাহান রাফি মারা যান।
এর আগে গত ২৭ মার্চ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মামলা করেন নুসরাতের মা। এ মামলা তুলে নিতে চাপ দিতে থাকে দুর্বৃত্তরা। এতে নুসরাত ও তাঁর পরিবার রাজি হয়নি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে লাইফ সাপোর্টে যাওয়ার আগে নুসরাত চিকিৎসকদের কাছেও জবানবন্দি দেন।
ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে মানববন্ধন।