পদ্মা সেতু ঢুকতে পারে দেশ-বিদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং সিলেবাসে

নয়াবার্তা প্রতিবেদক : সদ্যই বড় ধরনের ভূমিকম্পের মুখোমুখি হয়েছে আফগানিস্তান। মাইলের পর মাইল বসতি ধ্বংসস্ত‍ূপে পরিণত হয়েছে। কাছাকাছি সময়ের হওয়ায় প্রশ্নটা অনেকেরই মনে জেগেছে, ভূমিকম্পে পদ্মা সেতুর কী হবে? কত মাত্রার ভূমিকম্প ঠেকাতে পারবে স্বপ্নের এই সেতু?

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পদ্মা সেতুর একেবারে গোড়া থেকেই এই বিষয়টি মাথায় রাখা হয়েছিল। ফলে রিখটার স্কেলে প্রায় ৮ মাত্রার ভূমিকম্পেও এই সেতুর কিছু হওয়ার কথা নয়।

সেতু নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা জানান, সেতুর নকশা তৈরির সময় ৪৭৫ বছরের ভূমিকম্পের রেকর্ড দেখা হয়েছিল। তাদের মতে, বাংলাদেশে বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে অনেক বড় ভবন ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে পদ্মা সেতুর কোনো ক্ষতি হবে না।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের কথা মাথায় রেখেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। যে সংস্থা জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর,পার্ল হার্বার মেমোরিয়াল ব্রিজ, আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ বহু বিখ্যাত স্থাপত্যের নকশা করেছে, তারাই পদ্মা সেতুর প্রকৌশলের দায়িত্বে ছিল।

স্বপ্নের এ সেতুর ব্যাপারে সবচেয়ে আস্থাশীল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই সেতু নির্মাণে যে পদ্ধতির প্রয়োগ হয়েছে, তা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সিলেবাসে রাখা যেতে পারে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সব থেকে খরস্রোতা নদী আমাজন, তার পরেই পদ্মার অবস্থান। এ সেতুতে এমন সব কাজ করা হয়েছে যা বিশ্বের আর কোথাও হয়নি। তাই পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ বিশ্বজুড়ে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পাঠ্যক্রমে যুক্ত করা যেতে পারে।

বিশেষজ্ঞরাও এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তারা বলছেন, রিখটার স্কেলে প্রায় ৮ মাত্রার ভূমিকম্পেও এই সেতুর কিছু হবে না। এ সেতুতে বিয়ারিং বসানো হয়েছে প্রায় ৯৬ সেট, যেগুলোকে বলা হয়-ফ্রিকশন পেন্ডুলাম বিয়ারিং। প্রত্যেকটি বিয়ারিংয়ের ওজন ২৫ টনের মতো। এ ধরনের এক সেট বিয়ারিং কমবেশি ১০ হাজার টন ওজন বহন করতে সক্ষম। পদ্মা সেতুর আগে বিশ্বের আর কোনো সেতুতে এমন বিয়ারিং ব্যবহৃত হয়নি। সেই কারণেই এটি বিশ্বের অন্য সব সেতুর থেকে এগিয়ে।

Share