নিজস্ব ডেস্ক প্রতিবেদক : ইরানের সবচেয়ে প্রবীণ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসিন ফখরিজাদেহকে হত্যার ঘটনায় প্রতিশোধ নেওয়ার শপথ করেছে তেহরান। এই হত্যাকাণ্ডে ইসরায়েলের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটি ।
সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির সামরিক উপদেষ্টা হোসেইন দেহগান বজ্রের শক্তিতে হামলাকারীদের পাল্টা আঘাত করার অঙ্গীকার করেছেন। খবর বিবিসির
শুক্রবার রাজধানীর দামাভান্দ এলাকায় আততায়ীরা প্রথমে মোহসিন ফখরিজাদেহর গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায় এবং পরে তার গাড়ি ঘিরে কয়েক দফা গুলি চালানো হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান তিনি।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ একে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ’ আখ্যা দিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এর নিন্দা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে তিনি বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডে ইসরায়েলের জড়িত থাকার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
দেশটির বিজ্ঞানী হত্যার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ২০১০ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ইরানের চারজন পরমাণু বিজ্ঞানী আততায়ীর হাতে প্রাণ হারিয়েছেন।
ইরানের অভিজাত সামরিক বাহিনী রেভ্যুলেশনারি গার্ড এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এর আগে গত ৩ জানুয়ারি ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের বিদেশি শাখা কুদস বাহিনীর প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা। এরপর বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে হামলা চালায় তেহরান।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ইরানের এই বিজ্ঞানীকে হত্যার পরও সেই ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে তেহরান।
পশ্চিমা বিশ্বের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ইরানের এই শীর্ষ বিজ্ঞানীকে দেশটির গোপন পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। এ ছাড়া কূটনীতিকরা প্রায় মোহসিন ফখরিজাদেহকে ‘ইরানের বোমার জনক’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকেন।
ইরান সম্প্রতি ইউরেনিয়াম উৎপাদনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে বলে নতুন করে উদ্বেগ বেড়েছে। এরইমধ্যে এই হত্যার ঘটনা ঘটল। বেসামরিক খাতে পারমাণবিক জ্বালানি তৈরির জন্য এবং একইসঙ্গে সামরিক কাজে ব্যবহারযোগ্য পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদনের জন্য সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম একটি আবশ্যিক উপাদান। দেশটি সবসময় বলে এসেছে, তারা শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহারের জন্যই তাদের পরমাণু কর্মসূচি ব্যবহার করে।