নয়াবার্তা প্রতিনিধি : গাজীপুর মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) আলী আজমের বিরুদ্ধে বিয়ের আশ্বাসে এক তরুণীকে (২১) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন ওই তরুণী। বিয়ের দাবি নিয়ে ওই তরুণী পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
ভুক্তভোগী ওই তরুণী জানান, দুই বছর আগে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলায় কর্মরত ছিলেন ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আলী আজম। চাকরির সুবাদে গাইবান্ধায় তার সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন আলী আজম। একপর্যায়ে ওই তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি।
তিনি জানান, হঠাৎ ওই কর্মকর্তার বদলি হয়ে যায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে। কিছুদিন পর তাকে গাজীপুরে নিয়ে এসে টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি গোপন রাখতে বারবার বাসা পরিবর্তন করতেন তিনি।
একপর্যায়ে তার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে বিয়ের জন্য চাপ দেন ওই তরুণী। বিভিন্ন টালবাহানায় কালক্ষেপণ করতে থাকেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। একপর্যায়ে ওই তরুণীকে বিয়ে করতে অপারগতা প্রকাশ করেন আলী আজম। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হলে কৌশলে তরুণীকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে বাসা পরিবর্তন করেন পুলিশ কর্মকর্তা।
বাড়িতে গিয়ে ওই তরুণী তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে পুনরায় টঙ্গী এসে তার সন্ধান করতে থাকেন। এক পুলিশ সদস্যের সহায়তায় আজমের বাসার সন্ধান পান তিনি। পরে ওই বাসায় উপস্থিত হলে তরুণীকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে বাসা থেকে বের করে দেন পুলিশ কর্মকর্তা। পরে রোববার রাত ৮টার দিকে টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে আজমের মুখোমুখি হন ওই তরুণী। এ সময় তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হলে স্থানীয় পথচারীদের নজরে পড়ে বিষয়টি।
এ সময় অসুস্থতার ভান করে পার্শ্ববর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন পুলিশ পরিদর্শক আলী আজম। পরে ঘটনাটি এড়িয়ে যেতে সোমবার ভোররাতে গোপনে হাসপাতাল ত্যাগ করেন তিনি। সোমবার সকালে ওই তরুণী গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আলমগীর হোসেনের কাছে এ বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক আলী আজমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি বলেন, ওই তরুণীকে বিয়ের বিষয়ে আলোচনা চলছে। হয়তো বা আজকে (সোমবার) শরীয়া মোতাবেক আমাদের বিয়ে হবে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আলমগীর হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী তরুণী আমাদের কাছে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। আমরা তাকে লিখিতভাবে অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।