নয়াবার্তা প্রতিবেদক : বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলার লিখিত রায়ে ‘ধর্ষণের ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পরে মামলা না নিতে’ পুলিশকে নির্দেশনার কোনো উল্লেখ নেই। মঙ্গলবার রাতে ওই ধর্ষণ মামলার লিখিত রায় প্রকাশ হয়। গত ১১ নভেম্বর এতে স্বাক্ষর করেন বিচারক কামরুন্নাহার। এরপর আইন মন্ত্রণালয় ও সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়।
মামলার রায়ের দিন ‘ধর্ষণের ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পরে মামলা না নিতে’ পুলিশকে নির্দেশনার কথা মৌখিকভাবে বলেছিলেন আদালত। এ ঘটনায় নানা সমালোচনা তৈরি হয়। এমনকি ওই বিচারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতি ওই বিচারককে ট্রাইব্যুনাল থেকে প্রত্যাহার করে আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করেন।
সোমবার এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রধান বিচারপতি এবং আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার বিশ্লেষণের জন্য এই মামলার সব তথ্যপ্রমাণ নিম্ন আদালত থেকে নিজ আওতায় নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক তরুণী ধর্ষণের অভিযোগে বনানী থানায় মামলা করেন।
ওই বছরের ৩ জুন একটি মেডিকেল বোর্ড ভিকটিমদের ফরেনসিক রিপোর্ট পুলিশের কাছে জমা দেয়। মামলায় অভিযোগ অনুসারে, অভিযুক্তরা বাদী এবং তার এক বন্ধুকে ঢাকার রেইনট্রি হোটেলে আটকে রেখে দুজনের ওপরই নির্যাতন চালায়। মামলাটি সে সময়েও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টির পাশাপাশি দেশজুড়ে ধর্ষণ-বিরোধী জনমত গড়ে তুলেছিল।