নিজস্ব জেলা প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাস সনাক্তকরণে কুষ্টিয়ায় পাঁচ’শ কিট পৌঁছালেও নেই টেস্টিং ল্যাবরেটরি। ফলে এখানে রোগীর নমুনা সংগ্রহ সম্ভব হলেও ফলাফল পেতে বিভাগীয় পর্যায়ে স্থাপিত পিসিআর ল্যাবরেটরির ওপর নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে।
এদিকে কুষ্টিয়ায় করোনা রোগীর নমুনা সংগ্রহসহ ফলাফল নির্ণয়ে পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) স্থাপনে কুষ্টিয়া স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
জেলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার তাপস কুমার সরকার জানান, এই হাসপাতালে করোনা রোগীর নমুনা সংগ্রহে ৫০০টি টেস্ট কিট, ১০০ সেট পিপিই, ১০০টি গগরলস্, ১০০০ টি মাস্ক ও ১০০ টি ক্যাপ পাঠানো হয়েছে। তবে টেস্ট কিটসহ অন্যান্য সরঞ্জাম দেয়া হলেও হাসপাতালে করোনা টেস্টিং ল্যাবরেটরি নেই। ফলে রোগীর সংগৃহীত রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠাতে হচ্ছে ঢাকাস্থ রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) অথবা খুলনা কিংবা রাজশাহী বিভাগীয় পর্যায়ে স্থাপিত ল্যাবরেটরিতে। ফলে এসব ল্যাবরেটরিতে স্যাম্পল পৌঁছে দেয়াসহ ফলাফল পেতে হচ্ছে সময়ক্ষেপণ।
কুষ্টিয়া স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে সিভিল সার্জন ডাক্তার এইচএম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, কুষ্টিয়ায় করোনা পরীক্ষায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে একটি ল্যাবরেটরি স্থাপনে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। এখানে ল্যাবরেটরি স্থাপিত হলে করোনা রোগীর নমুনা সংগ্রহসহ পরীক্ষার ফলাফল স্বল্প সময়ে পাওয়া যাবে। এতে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, রাজবাড়ীসহ আশেপাশের ৫-৬টি জেলার করোনা আক্রান্ত রোগী পরীক্ষা সুবিধা পাবে। এছাড়া ল্যাবরেটরি স্থাপিত হলে করোনা রোগী ছাড়া পরবর্তী সময়ে অন্যান্য পরীক্ষায়ও পিসিআর মেশিন কাজে লাগানো যাবে।
উল্লেখ্য, কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ ও ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগে রয়েছে দক্ষ জনবল। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করে তাদেরকে পিসিআর ল্যাবরেটরি পরিচালনায় কাজে লাগানো যাবে বলে চিকিৎসকরা জানান।
কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাক্তার এসএম মুসতানজিদ জানান, কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজে দক্ষ মাইক্রোবায়োলজিস্ট ও প্যাথলজি বিভাগে দক্ষ জনবল রয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে শর্টকোর্স প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কুষ্টিয়ায় পিসিআর ল্যাবরেটরি চালু করা সম্ভব বলে তিনি জানান।
কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আরএমও তাপস কুমার সরকার জানান, করোনা পরীক্ষায় পিসিআর মেশিন স্থাপনে অতি সম্প্রতি সরকারি নির্দেশনা পাওয়া গেছে। হাসপাতাল অভ্যন্তরে পিসিআর মেশিন স্থাপনে জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।