নয়াবার্তা ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার দেড় মাসের মাথায় পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা লিজ ট্রাস। লন্ডনের স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে জাতির উদ্দেশে ভাষণে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।
লিজ ট্রাস বলেন, তিনি এরইমধ্যে রাজা চার্লসকে কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব থেকেও সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন। কয়েক ডজন সাংবাদিকের সামনে দেওয়া বক্তব্যে লিজ ট্রাস বলেন, অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিরাট এক অস্থিরতার সময়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে এসেছিলেন। যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর পদে এসেছেন, তা পূরণ করতে পারছেন না।
লিজ ট্রাস বলেছেন, তিনি আজই দলের ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যান স্যার গ্রাহাম ব্রাডির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সেখানে আগামী সপ্তাহের মধ্যে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের বিষয়ে মতৈক্য হয়েছে। সে পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
করোনা বিধিনিষেধের মধ্যে বাসায় পার্টি করাসহ নানা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন বরিস জনসন। বরিসের সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের ভোটে দলীয় নেতা নির্বাচিত হন। গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন তিনি। তার ৪৫ দিনের মাথায় এলো তাঁর পদত্যাগের ঘোষণা।
বিবিসি বলছে, যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময়ের প্রধানমন্ত্রী হলেন লিজ ট্রাস। তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের মেয়াদ হলো মাত্র ৪৫ দিন। এর আগে সবচেয়ে কম সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জর্জ ক্যানিং, ১৯২৭ সালে মাত্র ১১৯ দিন এই দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
লিজ ট্রাসের সমস্যা শুরু হয় গত ২৩ সেপ্টেম্বর তাঁর সরকারের প্রথম অর্থমন্ত্রী কাওয়াসি কোয়ার্তেং সংক্ষিপ্ত বাজেট উপস্থাপন করার পর। ওই বাজেটে কর কমানোর ঘোষণা দিলে যুক্তরাজ্যের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। কমে যায় ব্রিটিশ পাউন্ডের দাম। এরপর অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে কাওয়াসি কোয়ার্তেংকে সরিয়ে দিয়েছিলেন লিজ ট্রাস। তবে তারপরেও তাঁর পদত্যাগের দাবি তুলতে থাকেন কনজারভেটিভ পার্টির নেতারা।