নয়াবার্তা প্রতিবেদক : সদ্য বিয়ে ঠিক হয়েছে মেয়ের। এরই মধ্যে ‘অসুস্থ’ হয়ে পড়েছে মেয়ে। ‘বুকে ব্যথা’র ডাক্তার দেখাতে হাসপাতালে মেয়েকে নিয়ে গেলেন বাবা-মা। চিকিৎসক হার্টের কয়েকটি টেস্ট করেও কোনো রোগ শনাক্ত করতে পারেননি। পরে ডাক্তারের সন্দেহ হয়, তরুণী বুকে ব্যথার অভিনয় করছে। বাবা-মাকে আলাদা রেখে তরুণীর সঙ্গে কথা বলেন চিকিৎসক। এরপর জানতে পারলেন ‘আসল রোগ’। মূলত তরুণী তার প্রেমিককে বিয়ে করতে অসুস্থতার ভান করেছিলেন।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার চিটাগাং রোডের মা হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটে। ওই তরুণী তার প্রেমিককে বিয়ে করার জন্য অসুস্থতার ভান করে হাসপাতালে ভর্তি হন।১৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই হাসপাতালে তাদের বিয়ে হয়। এর আগে, ১৫ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ‘বুকে ব্যথা’ হওয়ায় বুধবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের হাউজিং এলাকার মো. ইউসুফের মেয়ে খাদিজাকে (১৮) ‘মা হাসপাতালে’ ডাক্তার দেখাতে নিয়ে আসা হয়। সঙ্গে ছিলেন তার মা-বাবা। হাসপাতালটির ডিউটিরত ডাক্তার মাহফুজ তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করান। তার হার্টের কয়েকটি টেস্ট করান। কিন্তু সব কিছু স্বাভাবিক এলে তিনি নিশ্চিত হন, তরুণীর কোনো রোগ নেই। তবে খাদিজাকে দেখে সিকিৎসকের সন্দেহ হয়। তিনি বুঝতে পারেন খাদিজা কোনো কারণে ভান ধরেছেন। রিপোর্ট স্বাভাবিক এলে ডা. মাহফুজ ওই তরুণীর সঙ্গে কথা বললে তরুণী সব খুলে বলেন। পরে প্রেমিক ওয়ালী উল্লাহকে হাসপাতালে আসতে বলেন ডাক্তার।
এদিকে বিষয়টি তরুণীর বাবা-মাকে জানানো হলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। মেয়েকে বাড়িতে উঠতে দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। তবে খাদিজা বিয়ের দাবিতে অনড় থাকায় পরে বিয়েতে সম্মত হন স্বজনরা। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফদের সহযোগিতায় সুষ্ঠুভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
চিটাগাং রোডের মা হাসপাতালে রিসিপশনের দায়িত্বে থাকা মো. সোহাগ বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সদের উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়। এ সময় উভয় পক্ষের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।