নিজস্ব জেলা প্রতিনিধি : সিলেটে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনে নিহত রায়হান আহমদের শরীরে ৯৭ আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মৃত্যুর ২-৪ ঘন্টা আগে ওই সব আঘাত করা হয়। শরীরের অভ্যন্তরে হয়েছে অসংখ্য রক্তক্ষরণ। ফরেনসিক রিপোর্ট পর্যালোচনা করে এমন তথ্য পাওয়া যায়।
বৃহস্পতিবার রায়হানের মরদেহ পুনময়না তদন্ত শেষে ফরেনসিক রিপোর্ট পিবিআই এর কাছে হস্তান্তর করেন ওসমানী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগ ও মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. শামসুল ইসলাম। প্রাথমিকভাবে তিনি রায়হানের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্নের কথা জানান। শনিবার তিনি জানান, ‘মূল ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রদান করতে সময় লাগবে। প্রাথমিকভাবে আমরা একটি রিপোর্ট দিয়েছি।’
ফরেনসিক রিপোর্ট অনুযায়ী- রায়হান মারা যান সন্ধ্যা ৭ টা ৫০ মিনিটে। মৃত্যুর সময় তার পাকস্থলী খালি ছিল। মৃত্যুর ২-৪ ঘন্টা আগে তার শরীরে এসব আঘাত করা হয়। রক্তক্ষরণের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে ফরেনসিক রিপোর্টে।
নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে রায়হান আহমদকে ১১ অক্টোবর রাত সাড়ে ৩টার দিকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে মারধর করা হয়। ওইদিন ভোররাত পর্যন্ত ফাঁড়িতে ছিলেন রায়হান। সকালে তাকে ওসমানী হাসাপাতালে ভর্তি করার পর তিনি মারা যান। রায়হানকে দাফনের পর বৃহস্পতিবার পুনময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। ওইদিন ময়নাতদন্ত শেষে আবার মরদেহ দাফন করা হয়।