নিজস্ব ডেস্ক প্রতিবেদক : ইসরায়েলের রাজনৈতিক বিশ্লেষক আকিভা এলদার বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের বিভক্ত করার জন্য বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকারের কৌশল ব্যর্থ হয়েছে। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
আকিভা বলান, ‘আমি মনে করি গাজায় ফিলিস্তিনি সম্প্রদায়কে বিভক্ত করতে যে কৌশল ইসরায়েল নিয়েছিল তা বহু বছর পর প্রথমবারের মতো ব্যর্থ হয়েছে।’ এই যুদ্ধবিরতির কারণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার পার্টনারদের কাছ থেকে সমর্থন হারাতে পারেন। কেননা তারা এই যুদ্ধবিরতিতে খুবই অসন্তুষ্ট।
টানা ১১ দিন বিমান হামলার পর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির জন্য সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। মিশরের মধ্যস্ততায় এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এক টুইটে তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি নাগরিকদের সমান নিরাপত্তা পাওয়ার যোগ্য। সেইসঙ্গে তাদের সমান স্বাধীনতা, সমৃদ্ধি ও গণতন্ত্রেই অধিকারও আছে। আমার প্রশাসন সেই লক্ষ্যে নিরবে কাজ করে চলেছে।
এর আগে, ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিশরের প্রস্তাবে তারা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত। এই যুদ্ধবিরতি হবে পারিস্পরিক ও নিঃশর্ত ।
যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলের উপর ক্রমশ চাপ বাড়ছিল। এছাড়া জো বাইডেন যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার জন্য ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে বেশ কয়েকবার ফোনও করেছেন।
যুদ্ধবিরতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েল সামরিক অভিযান বন্ধ করে যুদ্ধবিরতিতে রাজি বলে মিসরকে জানায়। রাতে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু তার জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে তারা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। যুদ্ধবিরতি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর হবে। অর্থাৎ আজ শুক্রবার থেকেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।
গত ১১ দিনে ইসরায়েলের বিমান হামলা ও হামাসের রকেট হামলায় অন্তত ৬৫ শিশু, ৩৬ নারীসহ ২৩২ জনের প্রাণ গেছে। হামাস অবশ্য তার যোদ্ধাদের ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। আর ইসরাইলে ২ শিশুসহ ১২ জন নিহত হয়েছে।