নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : ফুয়াং ক্লাবে অভিযানে কিছু পাওয়া যায়নি।অবৈধ ক্যাসিনোতে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এরই ধারাবাহিকতায় এবার পুলিশ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ফুয়াং ক্লাবে অভিযান চালায়।
সোমবার বিকেল ৫টার দিকে পুলিশের তেজগাঁও জোনের ডিসি আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান শুরু হয়। তবে সেখানে কোনো কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানান তেজগাঁও জোনের ডিসি আনিসুর রহমান ও ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন।
এর আগে রবিবার মতিঝিলে একসঙ্গে চার ক্লাবে অভিযান চালায় পুলিশ। ক্লাবগুলো হলো- মোহামেডান, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ, দিলকুশা স্পোর্টিং ও ভিক্টোরিয়া।
এসব ক্লাব থেকে বিপুল পরিমাণ জুয়া খেলার সরঞ্জাম, তাস, কার্ড উদ্ধার করা হয়। এছাড়া টাকা, মদ, সিসা, ওয়্যারলেস সেট ও বিভিন্ন ধরনের ছোড়া জব্দ করা হয়। তবে কাউকে আটক করা যায়নি।
সম্প্রতি সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অবৈধ ক্যাসিনোর সন্ধানে প্রথমে অভিযান চালায় র্যাব। এর মধ্যে ঢাকার ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাব ও ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে ক্যাসিনো পাওয়া যায়।
ইয়ংমেনস ক্লাবের ক্যাসিনোর ভেতর থেকে তরুণীসহ ১৪২ জনকে আটক করা হয়। নগদ ২০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, মদ, বিয়ার জব্দ করা হয়। গ্রেফতার করা হয় ক্যাসিনোর সভাপতি যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে।
অপরদিকে যুবলীগের আরেক নেতা নেতা জি কে শামীমের অফিসে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করে র্যাব। এছাড়া নগদ এক কোটি ৮০ লাখ টাকা, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর (স্থায়ী আমানত) চেক ও ১শ কোটি টাকার চেক উদ্ধার করা হয়। আর শামীমকে তার সাত দেহরক্ষীসহ গ্রেফতার করা হয়।
এরপর ধানমণ্ডির কলাবাগান ক্রীড়াচক্রে অভিযান চালায় র্যাব। এখান থেকে জুয়া খেলার কয়েন, ভিন্ন ধরনের ইয়াবা, বিদেশি পিস্তল, গুলি, ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি ও কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শফিকুল আলম ফিরোজসহ ৫ জনকে।