১১ নারী অধিকারকর্মীকে বুধবারের ওই শুনানির সময় রিয়াদের একটি ফৌজদারি আদালতে হাজির করা হয়। তিন সদস্যের বিচারক প্যানেল শুনানিতে অংশ নেন। তবে সেখানে বিদেশি গণমাধ্যম ও মানবাধিকারকর্মীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তবে বন্দী নারীদের পরিবারের সদস্যরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বন্দী নারীরা একে অন্যকে ধরে কান্নাকাটি করেন এবং সান্ত্বনা দেন। এ সময় সেখানে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন এমন দুই প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, শুনানির সময় বন্দী নারী অধিকারকর্মীরা অভিযোগ করেন, জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাঁদের বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হয়েছে। করা হয়েছে মারধর ও যৌন নিপীড়ন। বন্দী অবস্থায় নিরাপত্তা বাহিনীর ওই দুর্ব্যবহারের কারণে একজন আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন।
এর আগে বন্দী নারী অধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন ও নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো। ওই নারীদের মধ্যে প্রখ্যাত অধিকারকর্মী লুজিন আল-হাথলোল, ব্লগার ইমান আল-নাফিজানও রয়েছেন।
আটক অবস্থায় নারী অধিকারকর্মীদের ওপর নিপীড়নের জন্য সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের একসময়কার শীর্ষ উপদেষ্টা সৌদ আল-কাহতানিকে দায়ী করেন লুজিনের ভাই ওয়ালিদ আল-হাতলোল। তিনি বলেন, ‘সৌদি যুবরাজের শীর্ষ এক উপদেষ্টা আমার বোনকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন এবং তাঁর মরদেহ কেটে টুকরা টুকরা করারও হুমকি দিয়েছিলেন। আজ তাঁকে আদালতে হাজির করা উচিত। আমার বোনকে নয়।’