নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : পৌষের কনকনে শীতে পদ্মা ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন। আবহাওয়া জনিত কারণে কিছুটা বিলম্ব হলেও এরই মধ্যে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পদ্মা সেতুর ২১তম স্প্যান স্থাপন করা হয়েছে। সেই সাথে পদ্মাসেতুর অর্ধেকের বেশী অর্থাৎ ৩১৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। নতুন বছরের প্রথম স্প্যান খুঁটিতে বসানোর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতু এগিয়ে গেল আরেক ধাপ। মঙ্গলবার বিকাল ৩টা ৩মিনিটে বসানো হয় বহুল প্রত্যাশিত এ সেতুর ২১তম স্প্যান।
সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে স্প্যানটিকে নিয়ে যায় ‘তিয়ান ই’ ভাসমান ক্রেন। নির্ধারিত পিলারের কাছে পৌছায় সকাল ১১টার দিকে। ২০তম স্প্যান বসানোর ১৪ দিনের মাথায় বসেছে ২১তম স্প্যানটি।
এরই মধ্যদিয়ে বহুল আলোচিত ৬.১৫ মিটার দীর্ঘের মূল সেতুতে আর ২০টি স্প্যান বসানোর কাজ বাকী রয়েছে। চলতি মাসে সেতুর আরও দু’টি স্প্যান বসানোর কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সেতু বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের জানিয়েছেন, এখন থেকে প্রতি মাসে সেতুতে তিনটি করে স্প্যান বসবে। এতে আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই মোট ৪১টি স্প্যান বসানো সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জানা যায়, স্থায়ীভাবে সেতুতে ২১ স্প্যান বসালেও অস্থায়ী ভাবে আরও একটি অর্থাৎ সেতুতে এখন ২২টি স্প্যান দৃশ্যমান। ‘৫এফ’ নম্বরের স্প্যানটি এখন অস্থায়ীভাবে সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটিতে রাখা আছে। এটি সরিয়ে নেয়া হবে ৩০ ও ৩১ নম্বর খুঁটিতে। রেলওয়ে এবং রোডওয়ে স্লাব বসানোর সুবিধার্থে এটি সেখানে যথাস্থানে বসানো হয়নি। তবে শীঘ্রই এটিও ৩০ ও ৩১ নম্বর খুঁটিতে বসানো হবে।
দ্বিতল সেতুটি কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। এই সেতুর দু’প্রান্তে আরও প্রায় তিন কিলোমিটার সংযোগ সেতু রয়েছে। তাই সেতুটি দীর্ঘ প্রায় ৯কিলোমিটার। সেই সংযোগ সেতুর কাজের অগ্রগতিও সন্তোষজনক বলছেন এলাকাবাসী। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে।