নয়াবার্তা ডেস্ক : মানবাধিকার ও আইনের শাসনের সুরক্ষায় কাজ করা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তবে অস্ট্রেলিয়া সরকার মনে করে, এমন এক পরিবেশে নির্বাচন হয়েছে, যেখানে সব পক্ষ অর্থপূর্ণ এবং উল্লেখযোগ্যভাবে অংশ নিতে পারেনি—তা দুঃখজনক।
আজ বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যবিষয়ক দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশে গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার প্রেক্ষাপটে অস্ট্রেলীয় সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিটি দিয়েছে।
বিবৃতিতে বাংলাদেশে লাখ লাখ ভোটার নির্বাচনের দিন ভোট দিয়েছে উল্লেখ করে বিষয়টিকে স্বাগত জানানো হয়। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে হতাশাও প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে সহিংসতা এবং বিরোধী দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারের মতো যেসব ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে অস্ট্রেলিয়া উদ্বিগ্ন। অস্ট্রেলিয়া ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের কাছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরেছে।’
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই বিবৃতিতে নিজেদের বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, উন্মুক্ত, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধিশালী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অঞ্চল গড়ে তোলার ব্যাপারে দুই দেশের যে অভিন্ন লক্ষ্য আছে, তা অর্জনে কাজ করতে অস্ট্রেলিয়া বদ্ধপরিকর।