বাইডেনের সঙ্গে রাশিদার আট মিনিট

নিজস্ব ডেস্ক প্রতিবেদক : মার্কিন কংগ্রেসে তিনি একাকী ফিলিস্তিনি আমেরিকান। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে মাত্র আট মিনিট কথা বলেই আজ তিনি ইসরাইল বিতর্কে প্রাসঙ্গিকতা অর্জন করে নিয়েছেন। হাউসে ইসরাইল বিতর্ক চলাকালীন দেশটির বর্ণবিদ্বেষী নীতির তীব্র নিন্দা করেছিলেন রাশিদা। তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে, দীর্ঘকাল রিপাবলিকানরা তাকে ইহুদি বিদ্বেষী বলে অভিহিত করেছিল এবং তার কিছু ডেমোক্র্যাটিক সহকর্মীদেরও বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছিল । অবশেষে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ যখন বিমানবন্দরের টারমাকে এই ফিলিস্তিনি -আমেরিকান সদস্য মুখোমুখি হন মার্কিন প্রেসিডেন্টের। প্রায় আট মিনিট উভয়ের মধ্যে ইসরাইল – ফিলিস্তিনের চলতে থাকা সংঘাত নিয়ে কথা হয়। শুধু তাই নয়, মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখে রাশিদার স্তুতিও শোনা গেছে। বাইডেন বলেন, রাশিদার বুদ্ধি, বিচক্ষণতা এবং মানুষের প্রতি তার দায়িত্বজ্ঞান দেখে আমি তাকে শ্রদ্ধা করি। রাশিদাকে একজন প্রকৃত যোদ্ধা করে তোলার জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানান বাইডেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বরাবরই ইসরাইলের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে এসেছেন, এমনকি তার দেশ থেকে অস্ত্র, অর্থ সাহায্য গেছে ইসরাইলে। তবে বছর ৪৪ -এর তালিবের সঙ্গে কথা বলার পর দু’দেশের চলতে থাকা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরিণতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বাইডেন। সেই সঙ্গে যুদ্ধবিরতির কেন প্রয়োজন তা অনুভব করেন। রাশিদার অশ্রুসজল চোখে কাতর আর্জি মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন গলিয়ে দিতে বেশি সময় নেয়নি। তার পরের পরিণতি ১১ দিন পর অবশেষে ইসরাইল-ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিরতি। যার নেপথ্যে রাশিদার অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Share