নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : রাজধানীর বাড্ডা থেকে উদ্ধার হওয়া মৃত কলেজছাত্রী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে জানা গেছে।
শনিবার (১ মে) বাড্ডার একটি বাসা থেকে সোমা নামে এক কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি ফেনীর জয়নাল হাজারী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরগোপালগাঁও গ্রামে।
গত বছর পরিবার থেকে পালিয়ে এসে পাশের এলাকার যুবক আকাশের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন তিনি। এই এক বছর তারা ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন ভাড়া বাসায় থাকতেন। এর মধ্যেই গর্ভবতী হন সীমা।
গত ৩০ এপ্রিল রাতে স্বামী আকাশের মোবাইল থেকে সীমার বাবাকে ফোন করে জানানো হয়, তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
খবর পেয়ে সীমার বাবা ঢাকার উত্তর বাড্ডা এলাকায় ওই ভাড়া বাসায় গিয়ে জানতে পারেন, ভাটারা থানা পুলিশ সীমা ও তার নবজাতক সন্তানের লাশ উদ্ধার করেছে। স্বজনরা এটিকে পরিকল্পিত হত্যা দাবি করে আকাশকে আসামি করে ভাটার থানায় মামলা করেন। এরই মধ্যে আকাশকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহতের বোন বলেন, এমনভাবে আমার বোনকে টর্চার করেছে যে সে সহ্য করতে না পেরে নিজের প্রাণ নিজেই দিয়ে গেছে। সঙ্গে বাচ্চাটাকেও নিয়ে গেছে।
নিহতের বাবা বলেন, আত্মহত্যা না, তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর সুবিচার চাই।
এলাকাবাসী বলছেন, সীমার স্বামী একজন চিহ্নিত প্রতারক। বেশ কয়েকবছর যাবত নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আইসিটি বিষয়ক কনসালটেন্ট দাবি করে আসছিল সে। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে চাকরির প্রলোভনে স্থানীয়দের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলেও দাবি অনেকের।
ফেনী সোনাগাজীর চরমজলিশপুর ইউপি চেয়ারম্যান এমএ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে আইসিটির উপরে আছে বলে কোথাও গাড়ি ব্যবহার করেছে, কোথাও স্টিকার ব্যবহার করেছে। কাউকে চাকরি দেবে বলে প্রতারণার অভিযোগও এসেছে।
ডিএমপি ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুজ্জামন বলেন, প্রেমের টানে মেয়েটার বাবার কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে পালিয়ে এসেছিল। সেগুলো পরিশোধ করতে পারছিল না। এ নিয়ে ঝামেলা চলছিল। হয়তো এ নিয়েই মেয়েটি আত্মহত্যা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চাকরি করে এমন একটা কার্ড দিয়েছেন অভিযুক্ত আকাশ। যাচাই বাছাই প্রক্রিয়াধীন।