গাজী আবু বকর : তীব্র জনরোষ আর সশস্ত্র বিদ্রোহের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন আরও এক স্বৈরশাসক। সিরিয়ার দীর্ঘ দুই যুগের প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে করে রাজধানী দামেস্ক ছেড়ে পালিয়েছেন ‘অজানা গন্তব্যে’। ফলে সিরিয়া এখন ‘মুক্ত’ বলে ঘোষণা করেছেন দেশটির বিদ্রোহীরা। বিদ্রোহী যোদ্ধারা দামেস্কের কেন্দ্রস্থলে প্রবেশের পর আরব দেশটিতে ‘নতুন যুগ’র সূচনা হয়েছে জানিয়ে প্রবাসী সিরিয়ানদের দেশে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন। সিরিয়ার বাশারবিরোধী রাজনৈতিক জোটের প্রধান হাদি আল-বাহরা রাজধানী দামেস্ককে ‘বাশার আল-আসাদমুক্ত’ ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি তিনি সিরিয়ার জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
জনৈতিক বিরোধী জোটের প্রধান হাদি আল-বাহরা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের ঘোষণা দিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আমি আপনাদের জানাচ্ছি, বাশার আল-আসাদের পতন হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিরাপদ এবং প্রতিশোধ বা প্রতিহিংসার কোনো জায়গা এখানে নেই। সিরিয়ার ইতিহাসের একটি অন্ধকার অধ্যায় শেষ হয়েছে। তার এই ঘোষণার পর দামেস্কে আনন্দ-উল্লাসের খবর পাওয়া যাচ্ছে। রাজধানীর রাস্তা সিরিয়ানদের ‘মুক্তি! মুক্তি!’ স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে।
বাশার আল আসাদ ‘যুবরাজ’ থেকে স্বৈরশাসক:- আসাদ পরিবারের ৫৪ বছরের শাসন-শোষণের ধারাবিরণীর শেষ কটা লাইন এভাবেই বিবৃত হচ্ছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। গল্পের শুরুটা ১৯৭০ সালে এক সেনাঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে। বাশার আল আসাদের বাবা বাথ পার্টির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা হাফেজ আল-আসাদ সে বছর একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন। সামরিক বাহিনীতে নিজের শক্তিশালী অবস্থান কাজে লাগিয়ে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করেন। তার শাসন ছিল কেন্দ্রীভূত এবং কঠোর নিয়ন্ত্রণের প্রতীক। তার বিরুদ্ধে ১৯৮২ সালে হামা শহরে মুসলিম ব্রাদারহুডের বিদ্রোহ দমনে গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে। ওই ঘটনায় ১০ থেকে ২০ হাজার মানুষ নিহত হন। এই ঘটনা তার শাসনের এক কালো অধ্যায়।
২০০০ সালে হাফেজ আল-আসাদের মৃত্যুর পর তার পুত্র বাশার আল-আসাদ ক্ষমতায় বসেন। বাশার আল-আসাদ হলেন হাফেজ আল-আসাদের দ্বিতীয় সন্তান। দামেস্ক মেডিক্যাল কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে তিনি লন্ডনে চক্ষু চিকিৎসক হিসেবে প্রশিক্ষণ নেন এবং চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত হন। তার বড় ভাই বাসিল আল-আসাদ ছিলেন পরিবারের রাজনৈতিক উত্তরাধিকার। তাই বাশার ছিলেন রাজনীতির বাইরে। তবে ১৯৯৪ সালে বড় ভাই বাসিল সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলে বাশার পরিবারের দায়িত্ব নিতে বাধ্য হন। বাবার নির্দেশে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং রাজনীতির প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন।
ক্ষমতা নেওয়ার আগে বাশার আল-আসাদকে একজন সংস্কারপন্থী হিসেবে দেখা হতো। তার ক্ষমতা নেওয়ার পর ২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে সিরিয়ার ১০০ জন বুদ্ধিজীবী সামরিক আইন প্রত্যাহার, আরও বেশি স্বাধীনতা এবং বহুদলীয় রাজনৈতিক চর্চার জন্য তার কাছে আহ্বান জানিয়েছিলেন। এই আহ্বানের পর বাশার আল-আসাদ তার শাসনের শুরুর দিকে কিছু সীমিত সংস্কার চালু করেন, যার মধ্যে ছিল অর্থনীতিকে উদারীকরণ এবং কিছু রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা। এই সময়টি ‘দামেস্ক বসন্ত’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। তবে, এই সংস্কারগুলো বেশিদিন টেকেনি। শাসন আবারও কঠোর কর্তৃত্ববাদী রূপে ফিরে যায় এবং দমন-পীড়ন নতুন করে শুরু হয়। দুর্নীতি, অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং রাজনৈতিক দমন-পীড়ন অব্যাহত ছিল, যা জনমনে অসন্তোষের বীজ বপন করে। এই অসন্তোষের পরে আরও বড় সামাজিক এবং রাজনৈতিক সংকট দেখা দেয়।
২০১১ সালে আরব বসন্তের ঢেউ সিরিয়ায় পৌঁছানোর পর বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং মুক্তির দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে, যা বাশারের শাসনের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে। জনগণ রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং দুর্নীতির অবসান দাবি করে। শাসকগোষ্ঠী এই বিক্ষোভের জবাবে সহিংস দমন-পীড়ন চালায়, যা দেশকে একটি গৃহযুদ্ধে ঠেলে দেয়। সংঘাত ক্রমশ তীব্র হয় এবং জিহাদি গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন বিরোধী পক্ষ আবির্ভূত হয়। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইরান ও তুরস্কসহ বিদেশি শক্তিগুলোর হস্তক্ষেপ এই সংকটকে আরও জটিল করে তোলে।
২০১৩ সালের ২১ আগস্ট এই গৃহযুদ্ধে সবচেয়ে বেশি নির্মমতার পরিচয় দেন বাশার। দক্ষিণ সিরিয়ার ঘৌটায় বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে বসেন তিনি। সহস্রাধিক লোক এই হামলায় মারা যায়।
পরে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার চাপের মুখে সিরিয়া তাদের রাসায়নিক অস্ত্র ভাণ্ডার ধ্বংস করতে সম্মত হয়। এই প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও রাসায়নিক হামলার রিপোর্ট মাঝেমধ্যে আসতে থাকে।
এই যুদ্ধে ৫ লাখের বেশি মানুষের প্রাণ ঝরেছে। আর প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
২০২১ সালে বাশার আল-আসাদ অত্যন্ত এক বিতর্কিত নির্বাচনে ৯৫ শতাংশ ভোট নিয়ে চতুর্থবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। দীর্ঘ বিচ্ছিন্নতার পর ২০২২-২৩ সালের দিকে আরব রাষ্ট্রগুলো বাশারের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন শুরু করে। ২০২৩ সালে সিরিয়া আরব লিগে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত হয়। এটি একটি কূটনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছিল। তবে ইউক্রেন এবং ইসরায়েলের পরিস্থিতি বিদ্রোহীদের হাতে এক সুবর্ণ সুযোগ এনে দেয়।
গত মাস থেকে বাশার আল-আসাদবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো দ্রুত সাফল্য পেতে থাকে। বাশারের প্রধান দুই মিত্র ইউক্রেনে ব্যস্ত রাশিয়া এবং ইসরায়েলের সঙ্গে ছায়া যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া ইরান এবার তাকে বাঁচাতে খুব বেশি কিছু করার সুযোগ পাইনি।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ উড়োজাহাজে করে রাজধানী দামেস্ক ছেড়েছেন। তবে তিনি কোথায় গেছেন, সেটা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তার গন্তব্য অজানা থাকলেও বাশারের শাসনের এখনেই শেষ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
পোশাক ফেলে দিচ্ছেন আসাদের সেনারা, সরে যাচ্ছে হিজবুল্লাহ:- যুক্তরাজ্য ভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা দ্যা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) খবর দিয়েছে যে, সিরিয়ার সেনাবাহিনী ও অন্য নিরাপত্তা বাহিনীর শত শত সদস্য তাদের সামরিক পোশাক খুলে ফেলেছে। এর আগে তাদের বলা হয়েছে, সরকারের পতন হয়েছে এবং তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে শেষ ফ্লাইটটি ছেড়ে যাওয়ার পর তাদের অব্যাহতির কথা জানানো হয়। এরপর তারা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার স্বার্থে সেনা পোশাক খুলে ফেলেন এবং বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যান।
এদিকে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে ঘোষণা করেছে, সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলের বৃহত্তম শহর দেইর এজজোরে সরকারপন্থী বাহিনী বিদ্রোহীদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। দেইর এজজোরে বিদ্রোহীগোষ্ঠী প্রবেশের মাত্র মিনিট কয়েক পরেই এই ঘোষণা আসে।
অপরদিকে শোনা যাচ্ছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের মিত্র; ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ সিরিয়ার কিছু এলাকা থেকে তাদের সৈন্যদের প্রত্যাহার করছে। আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থাগুলো জানাচ্ছে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা হোমস এবং দামাস্কাস শহর থেকে সরে যাচ্ছে। রয়টার্স জানিয়েছে, গোষ্ঠীটি লেবানন সীমান্তের কাছে পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কুসাইর থেকেও পিছু হটেছে। আসাদের রাজনৈতিকবিরোধী জোটের প্রধান হাদি আল-বাহরা বলেছেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো দুই দিনের মধ্যে তাদের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করবে এবং জাতিসংঘের সহযোগিতায় ক্ষমতা হস্তান্তর সম্পন্ন হবে।
এদিকে সশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের প্রধান আবু মোহাম্মদ আল-জুলানি তার যোদ্ধাদের নির্দেশ দিয়েছেন, যেন তারা কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান বা সেবামূলক স্থাপনায় আক্রমণ না করে, লুটপাট না চালান।
কাতার, সৌদি আরব, জর্ডান, মিশর, ইরাক, ইরান, তুরস্ক এবং রাশিয়া যৌথভাবে একটি বিবৃতিতে সিরিয়ার বর্তমান সংকটকে একটি ‘বিপজ্জনক বিস্তৃতি’ হিসেবে বর্ণনা করেছে এবং এর একটি রাজনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।
আসাদের উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার কবলে পড়ার গুঞ্জন, পরিবার রাশিয়ায়:- সিরিয়ার পতিত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সন্ধান করছে বিদ্রোহীরা। বিদ্রোহী বাহিনী আসাদের সামরিক কর্মকর্তা এবং গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে, যাদের তার অবস্থান সম্পর্কে জানার সম্ভাবনা রয়েছে।
ওপেন-সোর্স ফ্লাইট ট্র্যাকার থেকে জানা যাচ্ছে, দামেস্ক ছেড়ে যাওয়া শেষ উড়োজাহাজটি ছিল একটি ইলিউশিন-৭৬ প্লেন, যার ফ্লাইট নম্বর ছিল সিরিয়ান এয়ার ৯২১৮। ধারণা করা হচ্ছে, এই উড়োজাহাজটি আসাদকে বহন করছিল। এটি বিদ্রোহীরা বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ঠিক আগে উড্ডয়ন করে। এটি প্রথমে পূর্বদিকে উড়ে যায় এবং পরে উত্তর দিকে মোড় নেয়, কিন্তু হোমসের ওপর দিয়ে চক্কর কাটার সময় এর সিগন্যাল হঠাৎ হারিয়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ভিডিও শেয়ার করা হচ্ছে, যেখানে একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে আগুনে পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে। এটি আসাদকে বহনকারী উড়োজাহাজ বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে এই দাবি কোনো আন্তর্জাতিক বা স্থানীয় সংবাদমাধ্যম স্বাধীনভাবে নিশ্চিত বা যাচাই করতে পারেনি।
এর আগে বিদ্রোহীরা উত্তর সিরিয়ার বড় অংশ দখল করার পরপরই বাশার আল-আসাদের পরিবার রাশিয়ায় পালিয়ে যায়। ক্রেমলিনের একটি সূত্র ব্লুমবার্গকে এই তথ্য নিশ্চিত করে। তারা জানায়, আসাদকে রক্ষা করার কোনো পরিকল্পনা মস্কোর নেই। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভøাদিমির পুতিন আসাদের সৈন্যদের পিছু হটার ঘটনায় বিরক্ত।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, বাশার আল-আসাদের ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত স্ত্রী আসমা আল-আসাদ, তাদের তিন সন্তানসহ গত সপ্তাহে পালিয়ে গেছেন। আসাদের দুই শ্যালকও সিরিয়া ছেড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে গিয়েছেন। বাশার আল-আসাদ নিজেই সিরিয়াতে রয়েছেন কি না এখনও পরিষ্কার নয়। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) বলছে, আসাদ দেশ ছেড়েছেন।
যুগে যুগে গণআন্দোলনের মুখে স্বৈরশাসকদের পলায়ন:- এর আগেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তীব্র গণআন্দোলনের মুখে বহু স্বৈরশাসক পালিয়েছেন। সিরিয়ার আগে এমনটি ঘটেছিল বাংলাদেশে। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা।
তার আগে অভ্যুত্থান সংঘটিত হয় শ্রীলঙ্কায়। দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে গণঅভ্যুত্থানের কারণে পালিয়ে গিয়েছিলেন।
বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন লিবিয়ার শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফি। অবশ্য স্বৈরাচার গাদ্দাফি পালাতে পারেননি। তিনি বিদ্রোহীদের হাতে নিহত হয়েছিলেন। মিশরে গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন হোসনি মোবারক। পরে তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছিল।
১৯৯৮ সালে গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুহার্তো। ২০০৬ সালে অভ্যুত্থান করে থাই জনতা। একটি টেলিকম কোম্পানি বিক্রয়কে কেন্দ্র করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই বছরেই থাকসিনকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির সেনাবাহিনী।
একবিংশ শতকে আলোচিত আরব বসন্ত শুরু হয় তিউনিসিয়ায়। গণঅভ্যুত্থান ঘটলে ২৩ বছর ধরে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখা প্রেসিডেন্ট বেন আলী দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।