নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : ‘আবার বিয়ের পিঁড়িতে রেলমন্ত্রী’ বৃহস্পতিবার (১০ জুন) এমন সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক ইত্তেফাক অনলাইনসহ দেশের প্রায় সব গণমাধ্যমে। বিয়ের সংবাদটি প্রকাশ হওয়ার পরদিন শুক্রবার (১১ জুন) খবর এলো গত শনিবার (৫ জুন) বিয়ে করে ফেলেছেন রেলমন্ত্রী।
জানা গেছে, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন (৬৫) ইসলামী শরিয়াহ ও সরকারি আইন অনুসরণ করে শাম্মী আকতার মনিকে (৪২) বিয়ে করেছেন। শাম্মী আকতার পেশায় একজন আইনজীবী। তার দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার নতুন বাজার এলাকায়। তিনি মৃত আব্দুর রহিমের মেয়ে। তারা দুই ভাই এক বোন।
আজ শুক্রবার (১১ জুন) বিয়ের বিষয়ে শাম্মী আকতার মনির বড় ভাই মো. জাহিদুল ইসলাম মিলন হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বর্তমানে আমার বোন ঢাকার উত্তরায় থাকে। ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অ্যাডমিনে চাকরি করতো। এরইমধ্যে ল’ পাস করে হাইকোর্টে এক সিনিয়রের সঙ্গে প্র্যাকটিস করছে।
আইনি বিষয়ে পরমার্শ নিতে ২০ দিন আগে রেলমন্ত্রীর কাছে যায় আমার বোন। পরে আমার বোনকে মন্ত্রীর পছন্দ হয়। পারিবারিকভাবে ৫ জুন উত্তরায় আমার বোনের বাসায় তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়েতে বরপক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিরামপুরের বিচারপতি ইজারুল হক ও তার স্ত্রী। কনে পক্ষে আমি ও আমার ভাই উপস্থিত ছিলাম।
মনির বড় ভাই মো. জাহিদুল ইসলাম আরও জানান, শাম্মী আকতার মনি রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের পূর্ব পরিচিত। বিয়েতে মন্ত্রীর পরিবারের কেউ উপস্থিত ছিল না, অনেকটা পরিবারকে না জানিয়ে শুধুমাত্র বন্ধুদের নিয়ে বিয়ে সেরেছেন মন্ত্রী। শাম্মী বর্তমানে উত্তরার বাসায় আছে। ডিসেম্বরে স্বামী রেলমন্ত্রী সুজনের বাড়িতে যাবেন।
জানা যায়, ইতোপূর্বে শাম্মী আকতার মনির বিয়ে হলেও ২০১১ সালে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়। তার প্রথম পক্ষের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। শাম্মীর বাবা আব্দুর রহিম বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে (পিডিবি) চাকরির সুবাদে ১৯৮২ সাল হতে পাবনা থেকে সপরিবারে বিরামপুরে বসবাস করছিলেন।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নুরুল ইসলাম সুজনের স্ত্রী নিলুফার জাহান মারা যান। তাদের এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। তারা তিনজনই বিবাহিত।
১৯৫৬ সালের ৫ জানুয়ারি পঞ্চগড়ে জন্মগ্রহণ করেন রেলমন্ত্রী। পঞ্চগড়-২ (বোদা-দেবীগঞ্জ) আসন থেকে নবম, দশম এবং একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর রেলমন্ত্রী হন নুরুল ইসলাম সুজন।
এর আগে ২০১৪ সালে রেল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন মুজিবুল হক। মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নিয়ে ওই বছরের ৩১ অক্টোবর কুমিল্লার চান্দিনার হনুফা আক্তার রিক্তাকে বিয়ে করেন। হনুফা আক্তার রিক্তা একজন আইনজীবী।
তখন মুজিবুল হকের বয়স ছিল ৬৭ বছর। ২০১৬ সালের মে মাসে তিনি কন্যাসন্তানের বাবা হন। গত বছরের ১৫ মে তাদের ঘর আলো করে আসে যমজ পুত্রসন্তান।