নয়াবার্তা প্রতিবেদক : বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন আজ সকালে তাদের পরবর্তী সকল কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে। ছয় সমন্বয়ক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে কর্মসূচি প্রত্যাহার করার পাশাপাশি তাদের দাবি সমূহ সাত দিনের মধ্যে মেনে নেবার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন, নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, আবু বাকের মজুমদার, আসিফ মাহমুদ ও নুসরাত তাবাসসুম।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের এই অস্থিতিশীল মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের পাশে যে সকল শিক্ষক এবং সাধারন মানুষ এসে দাঁড়িয়েছেন আমরা আপনাদের নিকট চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমরা দৃঢ চিত্তে বিশ্বাস করি দলমত নির্বিশেষে এই আন্দোলন আমাদের সকলের। কিন্তু আমাদের এই স্বাভাবিক আন্দোলনকে অস্বাভাবিক করে তোলার জন্য কিছু রাজনৈতিক দল পরিস্থিতি তৈরি করছে। যার ফলশ্রুতিতে ঝরে গেলো বহু প্রাণ। আমরা আগেই দাবি জানিয়েছিলাম আমাদের যে সকল সাধারণ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন তাদের প্রত্যেকটি মৃত্যুর সঠিকভাবে তদন্ত করে যে সকল ব্যক্তি জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে, এবং যে সকল প্রাণ ঝরে গিয়েছে ও রাষ্টীয় সম্পদের ক্ষতি হয়েছে তার দায়ভার আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা গ্রহণ করবো না। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের এই আন্দোলনকে কেউ যেন নিজ স্বার্থে ব্যবহার করে দেশে অস্থিতিশীলপরিবেশ তৈরি করতে না পারে সে জন্য আমরা শিক্ষার্থীদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আটক করা হয়েছে তাদের সকলকে নিঃস্বার্থভাবে মুক্তি দিতে হবে এবং তার দায়ভার আমরা সাধারণ শিক্ষার্থী গ্রহণ করবো না তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের এই স্বাভাবিক আন্দোলনকে কেউ যেন নিঃস্বার্থে ব্যবহার করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে না পারে সেজন্য আমরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন আমাদের সকল পরবর্তী সকল কর্মসূচি প্রত্যাহার করলাম। সেই সাথে সরকারকে সাত দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হলো এই সময়ের মধ্যে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে এবং বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন ভাবে তার কাজ করতে দিতে হবে। যদি এই সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হয়, পরবর্তীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করবে। সুতরাং সার্বিক স্বার্থে এই মুহূর্ত থেকে আমরা আগামী সাত দিনের জন্য আমাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করছি।