নয়াবার্তা প্রতিবেদক : ব্যাংকে জমার ওপর খরচ আরও বাড়ছে। তিনটি স্তরে আবগারি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। আবগারি শুল্কের এতোদিন ৫টি স্তর থাকলেও এখন তা ৮টি করা হয়েছে। আমানত, ঋণ বা অন্য যে কোনো কারণে ব্যাংকে জমার সর্বোচ্চ স্থিতির ভিত্তিতে প্রতি পঞ্জিকা বছরে একবার আবগারি শুল্ক বা এক্সাইজ ডিউটি কাটা হয়। তবে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের যে কোনো ধরনের জমার ওপর শুল্ক লাগবে না।
আবগারি শুল্কের ক্ষেত্রে বর্তমানে পাঁচটি স্তর রয়েছে। ১ লাখ টাকা জমার ওপর কোনো শুল্ক দিতে হয় না। আগামীতেও ১ লাখ টাকা পর্যন্ত জমায় শুল্ক কাটা হবে না। আর ১ লাখ টাকার বেশি থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত এখনকার মতো ১৫০ টাকা এবং ৫ লাখ টাকার বেশি থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ৫০০ টাকা শুল্ক অপরিবর্তিত থাকবে।
এতোদিন ১০ লাখ টাকার বেশি থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ৩ হাজার টাকা শুল্ক কাটা হতো। এখন এখানে দুই স্তর করে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ৩ হাজার টাকা এবং ৫০ লাখ টাকার বেশি থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ৫ হাজার টাকা শুল্ক প্রস্তাব করা হয়েছে।
১ কোটি টাকার বেশি থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত এতোদিন ছিল ১৫ হাজার টাকা। এক্ষেত্রেও দুইটি স্তর করে এখন ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে। আর ২ কোটির বেশি থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত কাটা হবে ২০ হাজার টাকা। এছাড়া ৫ কোটি টাকার বেশি যে কোন অংকের জমার ক্ষেত্রে এখনকার মতো ৫০ হাজার টাকা শুল্কহার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
আবগারি শুল্কের বাইরে প্রত্যেকের মুনাফার ওপর ১০ বা ১৫ শতাংশ কর দিতে হয়। এর বাইরে ব্যাংকগুলো সার্ভিস চার্জসহ বিভিন্ন ধরনের ফি নিয়ে থাকে। এসবের পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিলে ব্যাংকে টাকা জমা রাখলে আসলে কমে যায়। মানুষকে ব্যাংকে জমায় উদ্বুদ্ধ করতে এধরনের চার্জ না কাটার পরামর্শ দেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা।