নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত ভার্চুয়াল কোর্টের মেয়াদ বাড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এ লক্ষ্যে হাইকোর্টে বাড়ানো হয়েছে ভার্চুয়াল বেঞ্চের সংখ্যা।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে শনিবার এ সিদ্ধান্ত নেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চারটির স্থলে এখন হাইকোর্টের এগারোটি একক ভার্চুয়াল বেঞ্চে বিচার কাজ চলবে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে।
সেই হিসেবে চারটি ভার্চুয়াল বেঞ্চকে জরুরি ফৌজদারি মোশন ও জামিনের আবেদনপত্র শুনানির এখতিয়ার দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এর মধ্যে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালকে হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চে ফৌজদারি মোশন মামলা শুনানির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জেবিএম হাসানকে দেওয়া হয়েছে জরুরি রিট মোশন শুনানির এখতিয়ার। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারকে দেওয়া হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও মানি লন্ড্রারিং আইনের আওতাধীন ফৌজদারি ও রিট মোশন শুনানির এখতিয়ার। এছাড়া বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়াকে দেওয়ানি মোশন এবং বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানকে অন্যান্য মামলা শুনানির এখতিয়ার দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
এদিকে প্র্যাকটিস ডাইরেকশন অনুসরণ করে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসমূহে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অতীব জরুরি বিষয়সমূহের শুনানি গ্রহণ ও আদেশ প্রদানের জন্য অধস্তন আদালতের বিচারকদের নির্দেশনা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি, অসুস্থ কর্মচারী ও সন্তান সম্ভাব্য নারীরা কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকবেন বলে এই নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পায় আইইডিসিআর। গত আড়াই মাসে ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিচারক, আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী জনগণ যাতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত না হয় সেজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্প পরিসরে সুপ্রিম কোর্ট ও অধস্তন আদালতে বিচার কাজ পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে আপত্তি জানান এক দল আইনজীবী। পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্টের ফুল কোর্ট সভায় ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ভার্চুয়াল কোর্টে বিচার কাজ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপরই এ সংক্রান্ত কোর্ট পরিচালনা করতে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করেন। ওই অধ্যাদেশ জারির পর গত ১১ মে থেকে সুপ্রিম কোর্ট ও অধস্তন আদালতে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বিচার কাজ চলছে।