ভিকারুননিসা অধ্যক্ষের কথাগুলো সত্য হলে তা নিন্দনীয় : হাইকোর্ট

নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন্নাহার মুকুলের ফাঁস হওয়া ফোনালাপ সত্য হলে তা খুবই নিন্দনীয় ও অপ্রত্যাশিত বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার অধ্যক্ষ কামরুন্নাহার মুকুলের বিষয়ে বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে করা রিট আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এই মন্তব্য করেছেন।

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম এ রিট করেন। ওই রিটের ওপর আজ আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। এদিন আদালত বলেন, ‘অডিও ক্লিপের কথাগুলো যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে এটা খুবই নিন্দনীয়, অপ্রত্যাশিত। একজন অধ্যক্ষের কাছে এ ধরনের কথা আশা করা যায় না।’

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। আর অধ্যক্ষের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুশফিক উদ্দিন বখতিয়ার।

আদালতের আদেশ অনুসারে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, পত্রিকায় খবর বের হওয়ার পরে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু লকডাউনের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারেনি। এ সময় আদালত বলেন, ‘এখন তো লকডাউন শেষ। আমরা ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করলাম। ৩০ আগস্টের মধ্যে আমরা যেন একটা রিপোর্ট পাই। বিষয়টি আপনি মন্ত্রণালয়কে জানাবেন।’

আবেদনে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের ‘অসাদাচরণ ও দুর্নীতির’ বিষয়ে তদন্ত করতে বিভাগীয় ব্যবস্থার কার্যক্রম চালু না করায় বিবাদীদের ব্যর্থতা এবং নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং বিভাগীয় ব্যবস্থার কার্যক্রম শুরু করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় একজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে দায়িত্ব দিয়ে অধ্যক্ষ হিসেবে কার্যক্রম চালানো থেকে বিরত থাকতে নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ জুলাই ‘আমি গুলি করা মানুষ, পিস্তল বালিশের নিচে থাকত’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ সংযুক্ত করে এই রিট আবেদন করা হয়।

Share