মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ছোড়া দুটি গোলা পড়ল বাংলাদেশের পাহাড়ে

বান্দরবান প্রতিনিধি : বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে শূন্যরেখার কাছাকাছি বাংলাদেশ ভূখণ্ডের ১২০ মিটার ভেতরে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর দুটি গোলা এসে পড়েছে। আজ শনিবার সকালে জনবসতিহীন পাহাড়ে এ দুটি গোলা বিস্ফোরিত হলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে বান্দরবানের পুলিশ সুপারের (এসপি) দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে বান্দরবান প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সীমান্তে গোলা ছুড়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তাদের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া ২টি গোলা এসে পড়েছে বাংলাদেশ সীমান্তের অভ্যন্তরে। বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রেজু আমতলী বিজিবি বিওপি আওতাধীন সীমান্ত পিলার ৪০-৪১ এর মাঝামাঝি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকাল ৯টায় গোলা দুটি বাংলাদেশ সীমানায় পড়ে।

স্থানীয়রা বলেন, তুমরু সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে। এক বিবৃতিতে বান্দরবানের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, শনিবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রেজু আমতলীর বিজিবির বিওপির (সীমান্ত চৌকি) আওতাধীন সীমান্ত পিলার ৪০ ও ৪১ নম্বর মাঝামাঝি এলাকায় ঢুকে পড়ে এসব যুদ্ধ বিমান। এ সময় যুদ্ধবিমান থেকে আনুমানিক আট-থেকে ১০টি গোলা এবং হেলিকপ্টার থেকে ৩০ থেকে ৩৫টি ফায়ার করতে দেখা গেছে। যুদ্ধবিমান থেকে ফায়ার করা দুটি গোলা ৪০ নম্বর সীমান্ত পিলার ১২০ মিটার বরাবর বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে পড়ে।”

নো ম্যান্সল্যান্ডের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত কয়েক দিন ধরে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে দফায় দফায় গুলিবর্ষণের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, সকাল থেকে তুমরু সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার উড়তে দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছে।

বান্দরবানের পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৯টা ২০ মিনিটে ৪০ ও ৪১ নম্বর সীমান্ত পিলারের মাঝামাঝি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দুটি যুদ্ধবিমান থেকে ৮-১০টি গোলা ও দুটি হেলিকপ্টার থেকে ৩০-৩৫ রাউন্ড গুলি ছুড়তে দেখা গেছে। তাদের ছোড়া দুটি গোলা ৪০ নম্বর সীমান্ত পিলারের কাছাকাছি শূন্যরেখার প্রায় ১২০ মিটার ভেতরে বাংলাদেশ অংশে এসে পড়েছে। এ ছাড়া ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ৩৪ ও ৩৫ সীমান্ত পিলারের তুমব্রু এলাকা থেকে মিয়ানমার ভূখণ্ডে ভারী অস্ত্রের গোলাগুলি এখনো শোনা যাচ্ছে। সেখানে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী পুলিশের (বিজিপি) তুমব্রু রাইট ক্যাম্প অবস্থিত। মূলত বিজিপির ওই ক্যাম্পের আশপাশে গোলাগুলি চলছে। মুরিঙ্গাঝিরি বিজিপি সীমান্তচৌকি থেকেও গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।

Share