নিজস্ব ডেস্ক প্রতিবেদক : বলা হয়ে থাকে, স্ত্রীর সঙ্গে তর্ক করাটা বৃথা। কারণ তর্কে পারা যায় না। কিন্তু কেন? তার উত্তর জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, কথোপকথনে যখন স্মরণ করার বিষয়টি আসে তখন পুরুষদের তুলনায় নারীরা নির্দিষ্ট কিছু যেমন ‘কে কী বলেছিল’ কিংবা ‘হারানো জিনিসটি কোথায় রয়েছে’ তা বেশি স্মরণ করতে পারেন। নারীরা এপিসোডিক মেমোরির কারণে এই স্মরণশক্তি পেয়ে থাকেন।
সহজ কথায় বলা যায়, যখন অতীতের কোনো আলাপচারিতা হয়, তখন নারীদের এই স্মরণশক্তি দেখা যায়। তারা সেই সব বিষয়গুলোর পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দিয়ে আপনাকে অবাক করে দিতে পারেন।
এবার জেনে নিন এই এপিসোডিক মেমোরি আসলে কী। এই মেমোরি আত্মজীবনীসংক্রান্ত যেকোনো ঘটনা যেমন: গত সপ্তাহে কী ঘটেছিল অথবা সকালে বিড়ালকে খাওয়ানো হয়েছিল কিনা ইত্যাদি মনে রাখার ক্ষমতাকে নির্দেশ করে।
এপিসোডিক মেমোরি সবচেয়ে সংবেদনশীল অন্যতম মেমোরি সিস্টেম। তাই গবেষকরা বলছেন, এটি ঘুমের অভাব, হতাশা ও বার্ধক্যজনিত কারণে প্রভাবিত হতে পারে।
নতুন এই গবেষণায় নারীদের নিয়ে আরো কিছু দারুন তথ্য দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, নারীরা কারো চেহারা এবং শরীরের ঘ্রাণ অনেক ভালো মনে রাখতে পারেন।
গবেষণা কার্যক্রমের অন্যতম সদস্য সুইডেনের কেরোলিনকা ইনস্টিটিউটের প্রধান গবেষক মার্টিন এস্পারহোম বলেন, এই গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, এপিসোডিক মেমোরির মাধ্যমে নারীরা বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন। এই সুবিধাটি বিশেষত কোন বিষয়গুলো তারা মনে রাখতে চাইছেন তার উপর নির্ভর করে।
তিনি জানান, তাদের একদল গবেষক ১৯৭৩ সাল থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ১২ লাখের বেশি অংশগ্রহণকারীর ওপর পরিচালিত ৬১৭টি আলাদা গবেষণার উপর ভিত্তি করে এসব তথ্য পেয়েছেন।
গবেষকরা বলছেন, স্মৃতিশক্তি বিভিন্নভাবে হাজির হতে পারে বা প্রকাশ পেতে পারে। এর ফলে অনেক সময় পুরুষরাও উপকৃত হয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, একজন পুরুষ তার প্রাইভেট গাড়িটির কাছে যাওয়ার পথটি একজন নারীর তুলনায় ভালো মনে রাখতে পারেন। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, পুরুষরা স্থানিক তথ্য বেশ ভালো মনে রাখতে পারেন।
গবেষকরা বলছেন, তাদের এই বৃহৎ গবেষণা নারী এবং পুরুষের জ্ঞানের ক্ষেত্রে সামান্য পার্থক্যই খুঁজে পেয়েছে। তবে তাদের বিশ্বাস, এই গবেষণা মেমোরি এবং জেন্ডারের ক্ষেত্রে নতুন প্রশ্নের জন্ম দেবে।
তথ্যসূত্র: ডেইলি মেইল