নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামীকাল রবিবার থেকে সীমিত আকারে বিভিন্ন রুটে ৮ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে। আগামী ৩ জুন থেকে আরও ১১ জোড়া ট্রেন চালু হবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কারণে ট্রেনের ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিলেও তাতে টিকিটের দাম বাড়বে না।
শনিবার দুপুরে রেলভবনের সম্মেলন কক্ষে ট্রেন চালুর বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এসব তথ্য জানান।
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু বাসে ভাড়া বাড়ানোর একটা প্রক্রিয়া চলছে। আপনারা জানেন রেল সরকারি সেবামূলক পরিবহন। তাই আমরা এখানে ভাড়া বাড়াবো না। আগের ভাড়াই চলবে। এ কারণে রেলের যাত্রী বেড়ে যাবে।’
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্যই আমরা ট্রেনের ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করবো। ট্রেনের সব টিকিট অনলাইনে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কেবিনের বালিশ, কাঁথা এগুলো দেওয়া হবে না। তাছাড়া করোনার এই সময় ট্রেনে খাবার সরবরাহ করা হবে না।
ট্রেনের যাত্রীদের উদ্দেশে নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হবেন না। ট্রেনে যাত্রা করার সময় অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। টিকিট ছাড়া কোনও যাত্রী ট্রেনে উঠবেন না। তাছাড়া বিমানবন্দর স্টেশন থেকে যাত্রী তোলা হবে না। সবাইকে কমলাপুর স্টেশন থেকে উঠতে হবে।
রেলমন্ত্রী বলেন, যাত্রীদের প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পানীয় সঙ্গে নিতে হবে। তাপমাত্রা পরিমাপের সুবিধার্থে যাত্রীদের ট্রেন ছাড়ার কমপক্ষে ৬০ মিনিট পূর্বে স্টেশনে পৌঁছাতে হবে। কোনও অবস্থাতেই টিকেট ছাড়া প্লাটফরমে প্রবেশ করা যাবে না। দর্শনার্থী/প্লাটফরম টিকেট বিক্রয় বন্ধ থাকবে। স্বল্পদূরত্বের যেমন : ঢাকা বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, নরসিংদীতে ট্রেন থামবে না।
আরো পড়ুন : করোনা প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধিদের আরও সম্পৃক্ত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, প্রথম দফায় আগামীকাল থেকে যেসব রুটে চলবে আন্তঃনগর ট্রেন সেগুলো হলো, সুবর্ণ এক্সপ্রেস (চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম), উদয়ন এক্সপ্রেস (চট্টগ্রাম-সিলেট-চট্টগ্রাম), লালমনি এক্সপ্রেস (লালমনিরহাট-ঢাকা-লালমনিরহাট), কালনী এক্সপ্রেস (সিলেট-ঢাকা-সিলেট), চিত্রা এক্সপ্রেস (খুলনা-ঢাকা-খুলনা), সোনার বাংলা এক্সপ্রেস (ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা), বনলতা এক্সপ্রেস (চাপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা-চাপাইনবাবগঞ্জ), পঞ্চগড় এক্সপ্রেস (পঞ্চগড়-ঢাকা-পঞ্চগড়)।
এছাড়া দ্বিতীয় দফায় আগামী ৩ জুন থেকে চালু করা হতে পারে আরও ৯টি আন্তঃনগর ট্রেন, সেগুলো হলো , ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার রুটে তিস্তা এক্সপ্রেস, ঢাকা-বেনাপোল, বেনাপোল এক্সপ্রেস, ঢাকা-চিলহাটি, নীলসাগর এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলহাটি, রূপসা এক্সপ্রেস, খুলনা-রাজশাহী, কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস, রাজশাহী-গোয়ালন্দঘাট, মধুমতি এক্সপ্রেস, চাট্টগ্রাম-চাঁদপুর, মেঘনা এক্সপ্রেস, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ও ঢাকা-নোয়াখালী, উপকূল এক্সপ্রেস, ঢাকা কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস, ঢাকা-চাঁদপুর ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস।
সংবাদ সম্মেলনে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।বাসস