লিজ ট্রাস যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী

নয়াবার্তা ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন লিজ ট্রাস। এর মাধ্যমে দেশটির ইতিহাসে তৃতীয় নারী হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন তিনি। বরিস জনসনের বিদায়ের পর ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব নির্বাচনের ভোটে জয়ী হন ট্রাস।সোমবার আনুষ্ঠানিক ওই ভোটের ফল প্রকাশ হয়।

মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের সরকার গঠনে আমন্ত্রণের জন্য বালমোরালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা লিজ ট্রাস।

বিবিসি জানায়, বরিস জনসন ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বিদায় নেয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেবেন ট্রাস।

জনসন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস ও সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকের মধ্যে নেতৃত্ব খুঁজে নিতে কনজারভেটিভ পার্টির প্রায় দুই লাখ সদস্য ভোট দেন। মোট ভোট পড়ে ৮২.৬ শতাংশ। এতে লিজ ট্রাস পান ৮১ হাজার ৩২৬ ভোট (৫৭.৪ শতাংশ) এবং সুনাক পান ৬০ হাজার ৩৯৯টি (৪২.৬ শতাংশ)।

২০১৯ সালে ৬৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পেয়ে কনজারভেটিভ দলের নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন বরিস জনসন৷ ২০০৫ সালে ডেভিড ক্যামেরন পেয়েছিলেন ৬৭ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট। আর ২০০১ সালে ডানকান স্মিথ পেয়েছিলেন ৬০ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট।

ক্ষমতাসীন দলের নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত দলীয় নেতাদের অভিনন্দন জানান লিজ ট্রাস। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, জনসন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন, ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করেছেন, জনগণকে করোনার টিকা দিয়েছেন।

জ্বালানি বিল কয়েক গুণ বেড়ে অর্থনৈতিক সংকটে ধুঁকতে থাকা যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের আশ্বাসের বাণী শুনিয়েছেন লিজ ট্রাস। কর কমানোর পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিকে সামনে এগিয়ে নিতে ‘বলিষ্ঠ পরিকল্পনা’ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানায়, গত জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যখন দলের মধ্যে তীব্র অসন্তোষের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে বাধ্য হন, তার পরই ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টিতে নতুন নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই প্রতিযোগিতায় শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক।

এর আগে যুক্তরাজ্যের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মার্গারেট থ্যাচার। তিনি ১৯৭৯ সাল হতে টানা ১১ বছর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।থেরেসা মে ২০১৬ সালে যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন, কিন্তু ব্রেক্সিট নিয়ে তীব্র বিভেদ এবং টানাপোড়েনের মধ্যে তাকে বিদায় নিতে হয়।

Share