নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : আসছে ৩১ মে থেকে অফিস খোলার পাশাপাশি ‘শর্তসাপেক্ষে সীমিত পরিসরে’ গণপরিবহন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
বুধবার রাত ৮টার দিকে এ তথ্য জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শর্তসাপেক্ষে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। নৌপরিবহন, ট্রেনও চলবে।
এর আগে বিকেলে প্রতিমন্ত্রী জানান, সাধারণ ছুটি আর বাড়ছে না। গণপরিবহন চলবে না। তবে কর্তৃপক্ষ চাইলে নিয়ম মেনে ফ্লাইট চালাতে পারবে। ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত এসব বিধি কার্যকর হচ্ছে বলে তিনি জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সীমিত আকারে চালু হবে সরকারি, আধা-সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও সীমিত আকারে চালু হবে। নাগরিক জীবনে সুস্থ থাকার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মানুষের চলাচলের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
ওই সময় প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, মানুষের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাওয়ার ক্ষেত্রে কঠোরতা আগের মতোই থাকবে। ঢাকায় প্রবেশ ও বের হবার পথে চেকপোস্ট থাকবে। হাটবাজার চলবে আগের মতোই সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
তিনি বলেন, এ সময়ের মধ্যে কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবে না। গণপরিবহন চলবে না। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি এবং কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়ি ব্যবহার করা যাবে। বিমান কর্তৃপক্ষ নিজ ব্যবস্থাপনায় বিমান চালাতে পারবেন, তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। সভা-সমাবেশ হবে না; মসজিদ ও উপাসনালয় স্বাস্থবিধি মেনে চালু রাখা যাবে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে ৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম দফায় সব অফিস-আদালত বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। সেই সঙ্গে সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। এরপর কয়েক দফা বাড়নো হয় সাধারণ ছুটি।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার কথা জানায় জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ২৯২ জন; মারা গেছেন ৫৪৪ জন।