শিবচরে করোনাকালীন কর্মস্থলে অনুপস্থিত ১১ কর্মকর্তা ফেঁসে যাচ্ছেন

নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ ঠেকাতে ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে নির্দেশ অমান্য করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বিভিন্ন দফতরের ১১ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) এই কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সচিবের কাছে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি পাঠানো হয়।

করোনা ভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি চলছে, যা শেষ হবে আগামী ১৪ এপ্রিল। তবে এই ছুটি আরো বাড়ানো হতে পারে বলে আলোচনা চলছে। মার্চের শেষের দিকে শিবচরে করোনা রোগী পাওয়ায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের চিঠিতে বলা হয়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তার রোধকল্পে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সময় জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহায়তার লক্ষ্যে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও আওতাধীন দফতর/সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থল ত্যাগ না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নির্দেশনা অমান্য করে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় কর্মরত ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।

এতে আরও বলা হয়, এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপজেলা কন্ট্রোলরুম ও ইউনিয়ন ট্যাগ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাদের অনুপস্থিতির কারণে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ কার্যক্রমসহ অন্য সরকারি কর্মসূচি বাস্তবায়ন বিঘ্নিত হচ্ছে। এ সব অনুপস্থিত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইকবাল হোসেন, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার শ্যামল কৃষ্ণ মালাকার, উপজেলা সমবায় অফিসার মো. জহিরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. হারুন-অর-রশিদ, সাব-রেজিস্ট্রার মো. আ. মতিন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার সত্য রঞ্জন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রফিকুল ইসলাম, উপসহকারী প্রকৌশলী এ কে এম আসাদ, উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মো. মোশারফ হোসেন, উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের হিসাবরক্ষক এমারত হোসেন ও সহকারী হিসাবরক্ষক অসীম বালা অনুপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং কৃষি মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগে তাদের ব্যবস্থা নিতে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

Share