বিনোদন প্রতিবেদক : ‘ক্রিকেট বিশ্বকাপ বিজয়ী শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গা যখন শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রী তখন তারই হাতে গড়া অত্যন্ত জনপ্রিয় কৃতি খেলোয়াড় জয়সুরিয়া শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। একদিন ক্রিকেট বিষয়ে একটা সভা চলছিল। সেখানে রানাতুঙ্গা ছিলেন প্রধান অতিথি/সভাপতি। তিনি জয়সুরিয়ার আগেই সভাস্থলে পৌঁছে গিয়ে নিজ আসনে বসে অন্যদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর জয়সুরিয়া সেখানে প্রবেশ করলে তার সম্মানে রানাতুঙ্গা উঠে দাঁড়ান এবং জয়সুরিয়া যতক্ষণ না আসনে বসেন ততক্ষণ রানাতুঙ্গা দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে সাংবাদিকরা এই বিষয়টি নিয়ে রানাতুঙ্গাকে প্রশ্ন করলে তিনি উত্তরে বলেন, ‘জয়সুরিয়া এখন শ্রীলঙ্কার জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন। তার মানে সে দেশেরও ক্যাপ্টেন। সে এই দেশের প্রতিনিধিত্ব করে। কাজেই, তাকে সম্মান জানানো আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য। এখানে ব্যক্তি জয়সুরিয়া বড় নয় এখানে বড় হলো ক্যাপ্টেনশিপ। এই হলো মূল্যবোধ ও শিষ্টাচার।এই কথাগুলো এভাবেই নিজের ফেসবুকে তুলে ধরেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সাবেক সভাপতি পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার।
সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে গতকাল বুধবার সংবর্ধনা দিয়েছে বাফুফে। সেই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের একটি ছবি ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যায়, বাফুফে কর্মকর্তা ও ক্রীড়ামন্ত্রীর পেছনে দাঁড়িয়ে আছেন কোচ গোলাম রাব্বানী ও ক্যাপ্টেন সাবিনা। দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনলেও তাদের জন্য কেন আসন বরাদ্দ নেই সেই প্রশ্ন উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। চলছে বিতর্ক।
গতকালের ঘটনার সমালোচনা করে গুলজার বলেন, পৃথিবীর কোথাও দেখি নাই, কোনো খেলায় বিজয়ী দলের সংবাদ সম্মেলনে ক্রীড়ামন্ত্রী বা ফেডারেশনের কর্তারা উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন। বক্তব্য দেন অধিনায়ক এবং সেরা খেলোয়াড়রা। সেখানে তারা তাদের সাফল্যের নেপথ্যের কথা এবং আবেগ অনুভূতি প্রকাশ করেন। আর এদেশে হয় তার উল্টোটা।’ ‘দালালরা যাই বলুক, আগে ক্যাপ্টেন এবং কোচের আসন নিশ্চিত করে তারপর অন্যদের বসা উচিত ছিল। তাহলে শুধু বিজয়ী দলকে নয় সমগ্র জাতিকে সম্মান জানানো হতো।
ক্ষোভ প্রকাশ করে গুলজার লেখেন, ‘আগামীতে যাতে এমনটা আর না হয় সে জন্য সবাইকে আরও বেশি সোচ্চার হতে হবে। কারণ, বাফুফে শুধু কোচ গোলাম রাব্বানী এবং ক্যাপ্টেন সাবিনাকে অপমান করেননি, তারা অপমান করেছেন সমগ্র জাতিকে।’