নয়াবার্তা ডেস্ক : প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে শ্রীলঙ্কায় তুমুল গণবিক্ষোভ চলছে। রাজধানী কলম্বোয় প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দখলে নিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। এ ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার দেশটির দুটি রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। খবর বিবিসির
শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল রুপাভিহিনি। আজ দুপুর নাগাদ চ্যানেলটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সম্প্রচার প্রকৌশলীরা কাজ করতে অস্বীকৃতি জানালে কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে হয়। এর পরপরই চ্যানেলটির দপ্তরে বিক্ষোভকারীরা ঢুকে যায়।
এই ঘটনার ঘণ্টাখানেক পর শ্রীলঙ্কার আরেকটি রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। তবে এই চ্যানেলের নাম ও কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানায়নি বিবিসি।
অর্থনৈতিক সংকটের মুখে গণ–আন্দোলনের মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার রাতে দেশ ছেড়ে পালান শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। তিনি একটি সামরিক উড়োজাহাজে করে মালদ্বীপে গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন অভিবাসন কর্মকর্তারা।
গোতাবায়ার দেশ ছেড়ে পালানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। এ ছাড়া দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশজুড়ে অনির্দিষ্টকালের কারফিউ জারি করা হয়েছে। রাজধানী কলম্বোতেও কারফিউ বলবৎ থাকবে। ক্রমবর্ধমান বিক্ষোভ থামাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
উচ্ছৃঙ্খল আচরণে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করার জন্য দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে।
প্রধানমন্ত্রী রনিলকে শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার। আর প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া আজ পদত্যাগ করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। স্পিকার বলেছেন, আগের ঘোষণা অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট আজই পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেবেন।
রনিল আগেই ঘোষণা দিয়েছেন যে, একটি সর্বদলীয় সরকার গঠিত হলে তিনি পদত্যাগ করবেন। একটি সর্বদলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছে দেশটির বিরোধী দলগুলো। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীরা রনিলেরও পদত্যাগ দাবি করছেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দখলে নিয়েছে।