সচিবালয়ে সাংবাদিক প্রবেশ নিয়ে জটিলতা, প্রেস কার্ড ইস্যুর উদ্যোগ

নয়াবার্তা প্রতিবেদক চিবালয়ে সাংবাদিক প্রবেশসংক্রান্ত দীর্ঘদিনের জটিলতা কাটতে যাচ্ছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় গঠিত ১১ সদস্যের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কমিটি শিগগিরই বৈঠকে বসছে এবং নতুন নীতিমালা অনুযায়ী সাংবাদিকদের প্রেস কার্ড ইস্যুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

২০২২ সালের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালা অনুযায়ী, এবার সাংবাদিকদের জন্য একই মেয়াদে (তিন বছর) একই ধরনের কার্ড দেওয়া হবে। কমিটি কার্ড ইস্যুর পাশাপাশি আপত্তি-অভিযোগ নিষ্পত্তি ও নীতিমালায় পরিমার্জনের সুপারিশ করবে।

বর্তমানে অনেক পেশাদার সাংবাদিক পুরোনো বৈধ কার্ড থাকলেও সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারছেন না। শুধু অস্থায়ী তালিকায় থাকা ৬১৫ জন সাংবাদিক প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেন—যা নিয়ে সাংবাদিক মহলে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভ বিরাজ করছিল।

অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে সাংবাদিকদের প্রায় ১৬৭টি অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল হয়, যা গণমাধ্যম স্বাধীনতার জন্য হুমকি বলে উল্লেখ করে সম্পাদক পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদ জানায়।

সবশেষ নতুন কমিটির কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে পেশাগত প্রতিবন্ধকতা দূর হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন সাংবাদিকরা।

জানা গেছে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় গঠিত ১১ সদস্যের এ কমিটির সভাপতি হিসেবে আছেন প্রধান তথ্য কর্মকর্তা। সদস্য হিসেবে আছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের (ডিএফপি) মহাপরিচালক, তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মো. মাসুদ খান, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবালয় নিরাপত্তা শাখার উপসচিব, জিটিভির জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কাজী জেসিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, আমার দেশ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, ইনডিপেনডেন্ট টিভির যুগ্ম সম্পাদক শামীম আবদুল্লাহ জাহেদী, জাগো নিউজের সম্পাদক কে এম জিয়াউল হক।

কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে থাকবেন পিআইডির জ্যেষ্ঠ উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা (প্রটোকল)। এ কমিটি গঠনের ফলে আগের কমিটি বাতিল করা হয়েছে।

নতুন কমিটি তিনটি কাজ করবে। প্রথমত, প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যু বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া; দ্বিতীয়ত, অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডসংক্রান্ত আপত্তি বা অভিযোগের শুনানি ও নিষ্পত্তির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া এবং তৃতীয়ত, প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালায় প্রয়োজনীয় সংযোজন, সংশোধন ও পরিমার্জনের বিষয়ে সুপারিশ করা।

Share