ক্রীড়া প্রতিবেদক : এমনিতেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের এক মন্তব্যকে ঘিরে ক্রীড়া সাংবাদিক মহলে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। আজ বাফুফের নির্বাহী কমিটির দীর্ঘ সভার পর আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের আগে নিজেদের মধ্যে আলোচনায় মাইক্রোফোনের সামনে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘জার্নালিস্ট এখানে ঢুকতে গেলে তাদের বাপের ছবি দিতে হবে। কন্ডিশন হলো, বাপের একটা ফটো পাঠাবে জুতা পরা। ঠিক আছে? এটা ম্যান্ডেটরি। আমার তো এখানে বাপের জুতা পরা ছবি থাকতে হবে।’
এ সময় সালাউদ্দিনের পাশে ছিলেন বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি সালাম মুর্শেদী, সহসভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া, কাজী নাবিল আহমেদ, মহিউদ্দিন আহমেদসহ অন্যরা।
গত ১৪ এপ্রিল আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে ফিফা বাফুফের সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে। এই ঘটনার আগে থেকেই দেশের ফুটবলের অনিয়ম নিয়ে সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিবেদন হচ্ছে। কিন্তু সাংবাদিকেরা ‘মিথ্যা সংবাদ’ করেন বলে প্রায়ই ক্ষোভ ঝাড়েন। সেই ধারাবাহিকতায় আজ নিজেদের মধ্যে কথোপকথনে তাঁর ওই মন্তব্য, যেটি রেকর্ড হয়ে যায় তাঁর সামনে থাকা সাংবাদিকদের রেকর্ডারে।
বাফুফে সভাপতি অবশ্য পরে নিজের বক্তব্যর জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। বাফুফে থেকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় দুঃখ প্রকাশ করে কাজী সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘একটা নিউজ আমি দেখছি, যেখানে সাংবাদিকদের আঘাত করার জন্য একটা কথা বলেছি। প্রকৃত কথা হলো, আমি সাংবাদিকদের কষ্ট দেওয়ার জন্য বলিনি। আমি নাবিলের (কাজী নাবিল আহমেদ) সঙ্গে একটা বিষয় নিয়ে জোক করছিলাম। সেটা যে কেউ টেপ (রেকর্ড) করছিলেন, সেটা আমি জানি না। আমি এই কথায় যদি কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকি, দুঃখ দিয়ে থাকি, তাহলে আমি খুবই দুঃখিত।’
এরপর তিনি যোগ করেন, ‘আমি ক্ষমা চাই। কারণ, আমি উদ্দেশ্যমূলক কিছু বলিনি। এটা আমাদের ব্যক্তিগত একটা জোক ছিল। ওখানে যে টেপ (রেকর্ড) ছিল, সেটাও আমি জানি না। কাউকে যদি কষ্ট দিয়ে থাকি, তাহলে অবশ্যই আমি দুঃখিত।’