নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : আগামীতে যে কোনো নির্বাচনে অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের পরিচয়পত্র দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে আবেদনের কপি নিয়ে আর ইসি কার্যালয়ে জমা দিতে হবে না।
এতদিন ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে প্রথমে অফিসের প্যাডে আবেদন করতে হতো। এরপর সেটাতে অনুমোদন নিয়ে পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে সাংবাদিকদের ফটো লাগিয়ে, নাম ঠিকানা, প্রতিষ্ঠানের নাম লিখে সাইন নিতে হতো। আর এতে প্রায় দুইদিন সময় লেগে যেতে। কিংবা ব্যয় হতো একটা পুরো দিন।
এ কাজে শুধু যে সাংবাদিকেদরই প্রচুর সময় ব্যয় করতে হতো তা নয়, নির্বাচন কমিশনের একটা বিরাট লোকবল এর পেছনে লেগে থাকতো। শুধু তাই নয়, তথ্য মন্ত্রণালয় থেকেও কর্মকর্তা এনে চাপ সামলাতে হতো। পরিচয়পত্র ছাপাতেও ব্যয় হতো প্রচুর।
এসব থেকে রেহাই পেতে এবং সাংবাদিকদের ভোগান্তিতে ও ঝামেলা কমাতে অনলাইনে আবেদনের ব্যবস্থা করছে নির্বাচন কমিশন। যেটাকে নির্বাচন কমিশন বলছে ‘সাংবাদিক অনলাইন নিবন্ধন’ প্রক্রিয়া।
পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবস্থাটি মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ইসির নিজস্ব ওয়েবসাইটে চালু করা হয়েছে। আসন্ন ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে এটি পরীক্ষামূলকভাবেই চলবে। আগামী ৫ মে এ সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সাংবাদিকদের এ ব্যবস্থায় যা করতে হবে : প্রথমে www.ecs.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘সাংবাদিক অনলাইন নিবন্ধন’ লিংকে ক্লিক করতে হবে। এতে যে পেইজ ওপেন হবে, সেখানে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে নিবন্ধন সেরে নিতে হবে। এক্ষেত্রে নিবন্ধনকারী হিসেবে সংশ্লিষ্ট অফিসের একজনকে নিবন্ধন (পরিবর্তন যোগ্য) সারতে হবে। এরপর নিবন্ধনকারীর নামে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি যাবে। পরবর্তীতে ওই নিবন্ধনকারী তার অ্যাকাউন্টে ঢুকে সাংবাদিক যোগ করুন অপশন থেকে সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারদের/সাংবাদিকদের ফটোসহ নির্দিষ্ট ডকুমেন্ট আপলোড করে এবং নাম-ঠিকানা দিয়ে সেভ করবেন।
এভাবে আবেদন সম্পন্ন হওয়ার পর নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট শাখা সেই তথ্যগুলো যাচাই করে সংশ্লিষ্ট অনুমোদন দেবে। আর তখন নিবন্ধনকারী নিজেই প্রিন্ট করে সাংবাদিক পরিচয়পত্র নিতে পারবেন।
এ বিষয়ে ইসির যুগ্ম সচিব (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান বলেন, ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে এটা পরীক্ষামূলকভাবে মঙ্গলবারই চালু করা হলো। শুধু ঢাকার সাংবাদিকরা বা যারা নির্বাচন কমিশন থেকে পরিচয়পত্র নিতে চান, তাদের জন্য এই আবেদন ব্যবস্থা। স্থানীয় প্রতিনিধিদের জন্য এটা নয়।
পরীক্ষামূলক কার্যক্রম সফল হলে স্থানীয় প্রতিনিধিদেরও এই ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তিনি আরো বলেন, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে নিবন্ধনকারী যদি চাকরি ছেড়ে দেন, সেক্ষেত্রে নিবন্ধনকারীর নাম পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে। এটা কোনো সমস্যা নয়।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনকে ১০ হাজারেরও বেশি পরিচয়পত্র দিতে হয়। এছাড়া জেলা পর্যায়েও প্রায় সমসংখ্যক পরিচয়পত্র সরবরাহ করতে হয় ইসিকে। এসব সঙ্গে সাংবাদিকদের গাড়ির স্টিকারও দেয় নির্বাচন কমিশন।