নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : সিদ্ধিরগঞ্জে পাইকারি কসমেটিক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রথম দফায় ৮৫ হাজার টাকা নিয়ে দ্বিতীয়বার ৫০ হাজার টাকা চাঁদা আনতে গিয়ে আটক হলেন নারগিস আক্তার (৩৫) নামে এক কথিত নারী সাংবাদিক।
এসময় পালিয়ে গেছেন তার দুই সহযোগী। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৫ মে) তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আবু সাঈদ। আটক নারগিস আক্তার ডিএমপি ঢাকা শ্যামপুর থানার ধুলাইপাড় এলাকার আউয়ালের বাড়ির ভাড়াটিয়া আলাউদ্দিনের স্ত্রী। পলাতক আসামিরা হলেন মো: সাগর মিয়া (৪০) ও পাভেল (৩২)। মামলার বাদি মো: আবু সাঈদ ঝিনাইদাহ জেলার শোলকুপা থানার ভাটবাড়িয়া গ্রামের গোলাম সারোয়ারের ছেলে। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকার ভাড়াটিয়া।
মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রথমে আসামিরা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে গত ১১ মে সকালে বাদির বাড়িতে গিয়ে নকল কসমেটিক ব্যবসায়ী আখ্যায়িত করে ১ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে পুলিশ খবর দিয়ে গ্রেফতার ও সমস্ত মালামাল জব্দ করবে বলে হুমকি দেয়। তখন বাদি তাদেরকে ৮৫ হাজার টাকা দিলে তারা চলে যায়। আবার তারা গত সোমবার দুপুরে বাদির বাড়িতে গিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। তখন টাকা দিতে অস্বীকার করলে একই রকম হুমকি দেয়। তাদের আচরণে বাদি আশপাশের লোকজনকে ডেকে আনলে সাগর মিয়া ও পাভেল দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু নারগিস আক্তার পালাতে পারেননি।
পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আটক নারগিস আক্তারসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন আবু সাঈদ। তবে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া নারগিস আক্তার কোনো পত্রিকার পরিচয়পত্র দেখাতে পারেননি। তিনি জানান, স্বামীকে না জানিয়ে এই প্রথম তাদের সঙ্গে বের হয়েছেন। একটি ক্রাইম রিপোর্ট করার কথা বলে সাগর তাকে নিয়ে আসে। মামলার সত্যতা স্বীকার করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, আটক নারীকে চাঁদাবাজি মামলায় দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।