নিজস্ব জেলা প্রতিবেদক : প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ রায় প্রদান করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু জানান, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চাচাই গ্রামে আরশাদ আলীর বাড়িতে কাজ করতো প্রতিবেশী রুহুল আমিন গাজীর স্ত্রী। স্ত্রীর অবর্তমানে ২০১৩ সালের ৫ এপ্রিল সকালে সেখানে কাজ করতে যায় রুহুল আমিনের বাক প্রতিবন্ধী কিশোরী মেয়ে রোজিনা খাতুন (১৬)। ওই দিন বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে আরশাদ আলীর ছেলে আনসার আলী (২৯) তাকে ধর্ষণ করে। এর ফলে সে অন্তস্বত্ত্বা হয়ে পড়ে। এরপর রোজিনার গর্ভে আছমত নামের একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।আদালতের নির্দেশে এই শিশুর ডিএনএ টেস্ট করা হলে প্রমানিত হয় এই সন্তানটি আনসার আলীর।
এ ঘটনায় বাক প্রতিবন্ধী ধর্ষিতার ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট তারিখে কালিগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কালিগঞ্জ থানার তৎকালীন এসআই নকীব আয়জুল হক এ মামলার তদন্ত করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে তিনি এ মামলায় ধর্ষক আনসার আলীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট প্রদান করেন। চারজন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ বৃহস্পতিবার এ মামলায় ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত আনসার আলীর বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
এছাড়া আসামির বিরুদ্ধে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও একবছর কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। তবে, এ মামলার রায় প্রদানের সময় ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত আসামি আনসার পলাতক ছিলো।