নিজস্ব উপজেলা প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার শ্যামনগরের খাদ্যগুদামে পুরাতন চাল বস্তা পাল্টে নতুন বস্তায় ভরার অভিযোগ পাওয়া গেছে।খাদ্যগুদামের ওসি আমিনুর রহমান পুরাতন চাল নতুন বস্তায় ভরে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। ঘটনার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হলে তিনি ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন। পুরাতন চাল নতুন বস্তায় ভরার অভিযোগ পেয়ে সদ্য নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান খাদ্য গুদামে যেয়ে অভিযোগের সত্যতা পান। তিনি পুরাতন চালের বস্তা পরিবর্তণ না করার নির্দেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের ১০৬ নং হট লাইনে একই অভিযোগ করা হরেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বিভাগীয় খাদ্য কর্মকর্তার মোবাইলে বার বার ফোন করা হরেও তিনি ফোন ধরেননি।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ ঘটনায় স্থানীয় পত্র পত্রিকায় একাধিক খবর প্রকাশিত হয় এবং খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নিকট গতকাল ২ এপ্রিল একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করার খবর জানতে পেরে ঐ খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা আমিনুর রহমান গতকালই পুরাতন চাল গুলো নতুন গুদামজাত করেছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শিরা বলেন খাদ্য গুদামের গত মৌসুমে আমন সংগ্রহ করা হয় ৮০০ মেট্রিক টন চাল। চলতি অর্থবছরে তার থেকে ২০০ মেট্রিক টন চাল কাবিখা ও খ্রিস্টানদের বড়দিন উপলক্ষ্যে উপজেলা প্রকল্প প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ডিও ইস্যু করা হয়। ঐ ডিও গুলোর চাল সরবরাহ না করে ১৮/১৯ টাকা কেজি দরে প্রকল্পের পরিচালকদের কাছ থেকে কাগজে কলমে ক্রয় করে সরকারের নিকট ৩৮ টাকা কেজি দরে বিক্রয় দেখানো হয়।এই চাল বিতরনের মাস্টার রোলে গ্রাহকের টিপ সই জালিয়াতি করা হয়। চাল গুলো গুদামে রেখেই কাগজে কলমে ক্রয় বিক্রয় দেখিয়ে ওই কর্মকর্তা ৪০ লাখ টাকা লোপাট করেছেন বলে জানা যায়। আর এসব অভিযোগ পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয় এবং খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নিকট ওখানকার স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই কর্মকর্তা অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা জানায় গত আমন মৌসুমে সংগ্রহ করা চাল পুনরায় গুদামজাত রাখার ফলে এবং তার বস্তা পরিবর্তন করে আবারো ওই গুদামজাত থাকর ফলে তা খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে যাবে। আর এগুলো পরবর্তীতে ও এম এস এর চাল বিতরণ কর্মসূচি এবং ভিজিএফ এর কর্মসূচীতে বিতরণ করা হবে।অসহায় দুস্থ পরিবারগুলো ভিজিএফ ভিজিডি পায়। তাদেরকে খারাপ চাল খাওয়ানো হলেও তারা সচরাচার অভিযোগ করেনা।ভিজিএফ ভিজিডি প্রাপ্তরা অভিযোগ করতে পারবে না এই যুক্তিতে ওসি এলএসডি এই কর্মকান্ড চালাচ্ছে। ঘটনার বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ থাকলেও আজ পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ তদন্ত হয়নি বলে জানা গেছে। ঘটনার বিষয়ে জানার জন্য খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা আমিনুর রহমানের মোবাইল ফোনে জানার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।