নিজস্ব জেলা প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা জজকোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল লতিফের বিরুদ্ধে আদালতের ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতির শর্ত অমান্য এবং আইনের অপব্যবহার করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি চেষ্টার অভিযোগ করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এম শাহ আলম। আজ সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতিতে নিজ চেম্বারে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এম শাহ আলম বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে আদালত পরিচালনা করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট গত ১১ এপ্রিল একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। বিজ্ঞপ্তিটি জেলা ও দায়রা জজ, প্রতিটি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বিচার বিভাগের বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে ‘বিশেষ প্র্যাকটিস নির্দেশনা’–সম্পর্কিত ১০ নম্বর কলামে উল্লেখ রয়েছে, জনগণের ন্যায়বিচার পাওয়ার লক্ষ্যে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতি চালু হওয়ায় আদালতের এ কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককে যথাযথ দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। আদালতের ভাবমূর্তির প্রতি লক্ষ রেখে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতির কোনো অংশ রেকর্ড বা প্রচার করা হলে, তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির দায়িত্ব পালনে অবহেলা বলে গণ্য করা হবে ও তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। অথচ গত ২৬ এপ্রিল জেলা দায়রা ও জজ আদালতে একটি ধর্ষণ মামলার জামিন শুনানিকালে আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে তাঁর (শাহ আলম) উপস্থাপিত বক্তব্যকে ঘিরে তাঁর চেম্বারে হামলা চালান পিপি আবদুল লতিফ ও তাঁর সহযোগীরা। ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতির বক্তব্যের উল্লেখ করে পরদিন তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন আইনজীবী আবদুল লতিফ, যা সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ভঙ্গ করার শামিল।
২৬ এপ্রিল একটি ধর্ষণ মামলার জামিন শুনানিকালে আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে শাহ আলমের উপস্থাপিত বক্তব্যকে ঘিরে তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন আইনজীবী আবদুল লতিফ। একে সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ভঙ্গ করার শামিল বলেন আইনজীবী শাহ আলম।
সংবাদ সম্মেলনে শাহ আলম আরও বলেন, আইনজীবী সমিতির সভাপতির পদে তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচন করে পরাজিত হন আবদুল লতিফ। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর (শাহ আলম) বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়াসহ তাঁর সুনাম নষ্ট করে চলেছেন আবদুল লতিফ। আইনজীবী আবদুল লতিফের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান আইনজীবী শাহ আলম।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউনুস আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওসমান গণি, আইনজীবী তোজাম্মেল হোসেন তোজাম, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আজাহার হোসেন, সাবেক পিপি তপন কুমার দাস প্রমুখ।
অভিযোগের বিষয়ে আবদুল লতিফ আজ বিকেলে বলেন, তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বিজ্ঞপ্তি লঙ্ঘন করেননি। তাঁর বিরুদ্ধে কটূক্তির বিষয়টি উল্লেখ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন।