নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে সাতক্ষীরায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শ্যামনগর, কালীগঞ্জ, আশাশুনি ও সদর উপজেলায় ২৫টি স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাঁধ ভেঙে ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে সহস্রাধিক চিংড়ি ঘের। আম্পানের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে বাড়িঘর, উপড়ে গেছে অসংখ্য গাছপালা। পোলট্রি শিল্পের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জানান, ঝড়ে সাতক্ষীরা শহর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। অনেক বিদ্যুতের খুঁটি ও গাছপালা উপড়ে পড়েছে। অনেক টিনচালার ঘর উড়ে গেছে। ঝড়ের তাণ্ডবে মৃত্যু হয়েছে এক নারীর। ভেসে গেছে দুই হাজার চিংড়ির ঘের।
জেলা প্রশাসক জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করতে বলা হয়েছে। সকাল থেকে বাঁধ মেরামতের কাজ করা হচ্ছে। বাঁধ মেরামতে পাউবোকে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে সেনাবাহিনীকে।
এদিকে আম্পানের তাণ্ডবে খুলনার হাজার হাজার কাঁচা ও সেমিপাকা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। খুলনা মহানগরী থেকে শুরু করে কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা, বটিয়াঘাটা, ডুমুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে প্রায় অর্ধলাখ মানুষের ঠাঁই হয়েছে খোলা আকাশের নিচে। বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে জমির ফসল।
বাগেরহাটের মোংলার পশুর নদীতে একটি পর্যটকবাহী লঞ্চ ডুবে গেছে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাসহ কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালার ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। প্লাবিত হয়েছে কয়েকটি গ্রাম ও অসংখ্য চিংড়ি ঘের।
তবে রাতভর তাণ্ডবের পর ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।। এটি বৃষ্টি ঝড়িয়ে ক্রমান্বয়ে আরও দুর্বল হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে তারা।
মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।