সাতক্ষীরা সংবাদদাতা : শ্রমিক ইউনিয়নের দুই পক্ষের বিরোধকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরা থেকে দূরপাল্লার সব গণপরিবহন বন্ধ রেখেছে সাতক্ষীরা পরিবহন মালিক সমিতি। মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সকাল থেকে কোনো পরিবহন সাতক্ষীরা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়নি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। তবে মালিক সমিতির নেতারা বলছেন, বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চলছে।
সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস কাউন্টারের ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, সকাল থেকে কোনো গাড়ি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়নি। সব পরিবহন বন্ধ রয়েছে। কি কারণে বন্ধ সেটি আমি জানি না। মালিক বন্ধ রাখতে বলেছেন, সে কারণে বন্ধ রেখেছি।
এদিকে হঠাৎ গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণায় বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। যাত্রীরা কাউন্টারে এসে ফিরে যাচ্ছেন। তালার অগোলঝাড়া গ্রামের বেলাল হোসেন নামের এক যাত্রী জানান, আমি ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশে কাউন্টারে আসলে তারা কোনো টিকিট দিচ্ছে না। এখন খুব বিপদে পড়ে গেলাম। একই রকম মন্তব্য করেন বিপাকে পড়া যাত্রী তুষার সরকার, বিপ্লব হোসেন, জেসমিন নাহারসহ কয়েকজন।
সাতক্ষীরা পরিবহন পরিচালক কমিটির সভাপতি তাহমিদ সায়েদ চয়ন বলেন, বাস মিনিবাস মালিক সমিতি ও শ্রমিকদের দ্বন্দ্বের কারণে আমাদের পরিবহনের ওপর চাপ পড়ছে। এখানে আমাদের কিছু নেই। আমরা গাড়ি চালানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছি। গাড়ি বন্ধ রাখলে আমাদেরই ক্ষতি।
সাতক্ষীরা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির আহ্বায়ক সাইফুল করিম সাবু বলেন, গতকাল (সোমবার) যশোরে সাতক্ষীরার পরিবহন কাউন্টারে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন যশোর মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা। সে কারণে সাতক্ষীরা থেকে পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছেন মালিকরা। এর কারণ গত ৫ আগস্ট শ্যামনগরে শ্রমিকদের সঙ্গে মারামারির ঘটনা ঘটে। তখন শ্যামনগরের উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিকরা যশোরের গাড়ি শ্যামনগর যেতে নিষেধ করে। নিষেধ উপেক্ষা করে যশোরের গাড়ি কালিগঞ্জে আটকে দেন শ্রমিকরা। পরে ছেড়েও দেন।
তিনি বলেন, সেই ইস্যুকে কেন্দ্র করে যশোর মালিক সমিতি ও শ্রমিক নেতারা যশোরে থাকা সাতক্ষীরার পরিবহন কাউন্টারগুলোতে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। সে কারণে পরিবহন মালিকরা গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখেছে। আলোচনায় বসার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।