নিজস্ব জেলা প্রতিবেদক : অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে র্যাব। শনিবার বেলা ১২টার দিকে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে র্যাব তাদের হেফাজতে নেয়।
এরা হলেন-এপিবিএনের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহজাহান, কনস্টেবল রাজীব ও আব্দুল্লাহ।
কক্সবাজার জেলা কারাগারের সুপার মোকাম্মেল হোসেন জানান, র্যাব-১৫ এর একটি দল এপিবিএনের তিন সদস্যকে জিজ্ঞাবাসাদের জন্য তাদের হেফাজতে নিয়েছে। আদালতের আদেশে এই তিন সদস্যকে র্যাব নিয়ে যায়।
গত ১৭ আগস্ট তাদের আটকের পর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১৫ (র্যাব) এর কক্সবাজার কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের পর এ হত্যাকাণ্ডে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। পরে তাদের মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরদিন তাদের আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে র্যাব। আদালত তাদের ৭ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
র্যাব জানায়, ঘটনার দিন এই তিনজন এপিবিএনের চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে গুলিতে নিহত হন সিনহা। ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি আর রামু থানায় একটি মামলা করে। এছাড়া সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস গত ৫ আগস্ট কক্সবাজারের হাকিম আদালতে এ ঘটনায় নয়জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
সিনহার বোনের মামলার আসামিরা হলেন-টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহার হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলী, উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, পুলিশ কনস্টেবল সাফানুর রহমান, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. মোস্তফা ও এসআই টুটুল। এদের মধ্যে আসামি মোস্তফা ও টুটুল পলাতক। বাকিদের গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ ছাড়া পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীকে সিনহা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় র্যাব।