নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে আটক করা ৪২ টন পপি বীজ রাজধানীতে প্রক্রিয়াজাত করা হতো। নিষিদ্ধ মাদক আফিম ও হেরোইন তৈরির উপাদান এই পপি বীজ প্রক্রিয়াজাত করে উৎপাদন করা হয়। পুরানো ঢাকার চকবাজার থানাধীন মৌলভীবাজারের ২২/১, আলী হোসেন খান রোডের আজমাইন ট্রেড সেন্টার নামের প্রতিষ্ঠানটি ছিল পপি বীজ প্রক্রিয়াজাত করার কেন্দ্র। এই প্রতিষ্ঠানটি বিদেশ থেকে সরিষা বীজ আমদানি করার নামে গোপনে পপি বীজ নিয়ে আসতো।
গত ১ জুন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস থেকে আজমাইন ট্রেড সেন্টারের নামে আমদানি করা ৫৪ টন সরিষার বীজের মধ্যে ৪২ টন পপি বীজ উদ্ধার করে। এ ঘটনার পরপর আজমাইন ট্রেড সেন্টার সেন্টারের মালিক রাজু আহমেদ পালিয়ে যান। ঘটনার পর সিআইডি মঙ্গলবার চট্টগ্রামে অভিযান চালিয়ে সিএন্ডএফ এজেন্ট হট লাইন কার্গো ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী অখিল চন্দ্র মণ্ডলকে গ্রেফতার করে।
বুধবার (৩০ জুন) মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশেষ পুলিশ সুপার খায়রুল আমিন, বিশেষ পুলিশ সুপার মাকসুদুর রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান।
সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, চট্টগ্রামে পপি বীজ আটকের পরপরই এর মূল হোতা রাজু আহমেদ পালিয়ে যান। চকবাজারের ৩১, আগা নবাব দেউড়ি’র বাড়িতে রাজু আহমেদ পুরো পরিবারের থাকতেন। ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে যে তারা সপরিবারে বাসা ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। পরে ঘটনাটি সিআইডি তদন্ত করে হট লাইন কার্গো ইন্টারন্যাশনালের মালিক অখিল চন্দ্র মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে রাজু আহমেদকে গ্রেফতার করতে পারলে মাদকদ্রব্য চোরাকারবারি সিন্ডিকেটে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের তথ্য জানা যাবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সিআইডির এই বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, আপাতত আমরা ধারনা করছি যে পপি বীজের গন্তব্যস্থল ছিল রাজধানী। এখানেই একটি বড় সিন্ডিকেট রয়েছে।