নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আর নেই (ইন্না লিল্লাহি… রাজিউন)। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। সৈয়দ আশরাফের চাচাত ভাই সৈয়দ তারেকুল ইসলাম ভিক্টর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। গুরুতর অসুস্থতার কারণে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদ থেকে ছুটি নেন তিনি।
দেশে না থেকেও রোববার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ।
বৃহস্পতিবার নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নিলেও সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম শপথ নেওয়ার জন্য সময় চেয়ে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে চিঠি দিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত আর শপথ নেওয়া হলো না তার। স্পিকারকে চিঠি দেওয়ার পরদিনই পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন তিনি।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি ময়মনসিংহ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সৈয়দ নজরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গঠিত মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন।
১৯৭৫ সালে কারাগারে বাবা সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর দীর্ঘদিন যুক্তরাজ্যে থাকা আশরাফ দেশে ফিরে ১৯৯৬ সালে কিশোরগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালেও একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারির পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা কারাবন্দি হলে যে কয়জন নেতা দলটির হাল ধরেছিলেন, সৈয়দ আশরাফ তাদের অন্যতম। তিনি দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
এদিকে সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানিয়েছেন, এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।