নিজস্ব বার্তা প্রতিবেদক : ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার আলোচিত মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় দায়িত্ব অবহেলাকারী সোনাগাজী থানার ওসি মোয়াজেম হোসেন রংপুর ডিআইজি অফিসে যোগদান করেছে। এ খবর পাওয়ার পর প্রতিবাদে ফেটে পড়েছে রংপুরের মানুষ! তারা ডিআইজি অফিস ঘেরাও করে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
এছাড়া এলাকাবাসী প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
শনিবার দুপুরে নগরীর লালবাগ মোড়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে তারা এই ঘোষণা দেন। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র সংরক্ষণ অধিকার পরিষদের রংপুর বিভাগীয় কমিটির আহবায়ক রায়হান শরিফের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- সমন্বয়ক হানিফ খান সজীব, যুগ্ম আহবায়ক আলমগীর নয়ন, আলমগীর কবির, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির আহবায়ক রোকনুজ্জামান রবিউল, কারমাইকেল কলেজ জাতীয় ছাত্রসমাজের সদস্য সচিব আরিফ আলী প্রমুখ।
আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে নুসরাত হত্যার প্ররোচণাকারী বিকর্তিক ওসি মোয়াজ্জেমের রংপুর রেঞ্জে বদলির আদেশ প্রত্যাহার করা না হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজিসহ প্রশাসনকে স্মারকলিপি প্রদান ও টানা আন্দোলনের হুমকি দেন তারা।
প্রতিবাদ সমাবেশে ওসি মোয়াজ্জেমকে রংপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে জুতা ও স্যান্ডেল প্রদর্শন করে শিক্ষার্থীরা। পরে লালবাগ চত্বর হতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।এদিকে ওসি মোয়াজ্জেমকে রংপুরে বদলির সংবাদে শুক্রবার থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে সমালোচনার ঝড়। বিভিন্নজন ফেসবুকে মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় বিতর্কিত মোয়াজ্জেম হোসেনকে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্তির প্রতিবাদ জানান। বর্তমানে নগরীর সবখানেই ওই ওসিকে ঘিরে আলোচনা ও সমালোচনা সাধারণ মানুষ থেকে শুরুকরে সচেতন মহলে।
নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় গাফিলতির প্রমাণ পাওয়ার পর সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজির কার্যালয়ে বদলি করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) সোহেল রানা। তিনি বলেন, ‘পুলিশ সদর দফতরের গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মোয়াজ্জেম হোসেন আপাতত বেতন-ভাতা ও পদ অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। শুধু নিয়ম অনুযায়ী খোরাকি ভাতা পাবেন।’
আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তাকে রংপুর রেঞ্জ থেকে প্রত্যাহার করা না হলে ডিআইজি অফিস ঘেরাও ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদানসহ রংপুর বিভাগে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে বক্তারা হুশিয়ারী দেন।