স্ত্রী শ্যালিকাকে পাচারের অভিযোগে স্বামীর যাবজ্জীবন

নিজস্ব জেলা প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় স্ত্রীসহ দুই নারীকে ভারতে পাচারের অভিযোগে স্বামী পঙ্কজ বিশ্বাসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত পঙ্কজ বিশ্বাস যশোরের চাঁচড়া রুপদিয়া এলাকার আনন্দ বিশ্বাসের ছেলে।মামলার বিবরণে জানা যায়, পঙ্কজ শ্যামনগরের গোদাড়া গ্রামে রাজমিস্ত্রি কাজ করতেন। এক পর্যায়ে ওই গ্রামের আব্দুল খালেক গাজীর মেয়ে রহিমা খাতুনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে পঙ্কজ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে রহিমাকে বিয়ে করার পর সেখানে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস শুরু করেন।

২০০৮ সালের এপ্রিল মাসে স্ত্রী রহিমা ও তার চাচাতো বোন হাবিবুল্লাহ গাজীর মেয়ে নার্গিস পারভীনকে নিয়ে যশোরে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তাদের ভারতে পাচার করে। পরে খালেক গাজী বাদি হয়ে পঙ্কজ বিশ্বাসসহ ৬ জনের নামে শ্যামনগর থানায় একটি পাচার মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ওই বছর জুন মাসে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আরিফ ১৩ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মঙ্গলবার বার এ মামলায় ছয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও নথি পর্যালোচনা করে আসামি পঙ্কজ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে এ সাজা দেন। তবে মামলা অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু জানান, এ রায়ের সময় অভিযুক্তরা পলাতক ছিলেন।

Share