হুন্ডির জাল ছিন্ন হওয়ায় বাড়ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ

সাত দিনে এসেছে ৭ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা

নয়াবার্তা প্রতিবেদক : হুন্ডির জাল ছিন্ন হওয়ায় বাড়ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। সাত দিনে এসেছে ৭ হাজার ১৪৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আসবে বলে খাত সংশ্লিষ্টরা অভিমত ব্যাক্ত করেছেন। মূলত ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে দেশীয় অর্থ পাচারকারীদের ছত্রছায়ায় মধ্যপ্রাচ্য যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের দেশ গুলোতে হুন্ডির জাল ব্যপক মাত্রায় বিস্তৃত হওয়ায় রেমিট্যান্সের অর্থ দেশে আসার পথ রুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলো। ফলে বহির্বিশ্বে কর্মরত লাখ লাখ বাংলাদেশীদের পাঠানো অর্থ মাসের পর মাস এই হুন্ডি চক্রের মাধ্যমে এসব দেশে পাচার হয়ে যায়।

গত ৫ আগস্টের ছাত্র জনতার সফল গণ-অভ্যূত্থানের পর এই হুন্ডিচক্রের জাল ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেছে। আর তার প্রভাব পড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহে। যে কারণে উন্মাতাল আগস্টেও রেমিট্যান্স এসেছে ২ দশমিক ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অবশ্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রবাসীরা সংহতি জানিয়ে প্রবাসী আয় কমিয়ে দেয়। এজন্য জুলাই মাসসহ আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রবাসী আয় কমে যায়। এর আগের মাস জুলাইতে রেমিট্যান্স এসেছিলো মাত্র ১ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর প্রবাসীদের অর্থ পাঠানো প্রবাহ বেড়ে যায়। এর ফলে আগস্ট মাসে প্রবাসী আয় বেড়ে যায়। সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসী আয়ের এই ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। মাসের প্রথম সাত দিনে ৫৮৪ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন বা ৫৮ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশী মূদ্রায় যার পরিমাণ ৭ হাজার ১৪৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল রোববার চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহের রেমিট্যান্স আহরণের তথ্য প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ৭ দিনে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ৫৮ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৭ হাজার ১৪৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৮ কোটি ৩৫ লাখ ডলার। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৫ কোটি ২৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১ কোটি ৪৮ লাখ ৩০ হাজার ডলার। আর বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৪১ কোটি ৫২ লাখ ৭০ হাজার ডলার। এছাড়াও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
এর আগে, গত জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। জুলাইয়ে এসেছে প্রায় ১৯১ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম আয় ছিল।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, চলতি মাস সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে যেভাবে রেমিট্যান্স আসার গতি, এ ধারা অব্যাহত থাকলে নতুন রেকর্ড গড়বে দেশ। ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে রেমিট্যান্স। তবে এজন্য আমাদের আরও কয়েকদিন দেখতে হবে। তবে রেমিট্যান্স বেশি আসার পেছনে সচেতনতা কাজ করছে। প্রবাসীদের কাছে পৌঁছানো আর ডলারের দরবৃদ্ধিতে হুন্ডি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন তারা। এসব কারণে বাড়ছে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে। বছরওয়ারি হিসাবে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে। ওই অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স আসে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার। আর চলতি বছরের জুন মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে মোট ২৫৪ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় দেশে এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৯ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা। এটি এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, সদ্যবিদায়ী আগস্ট মাসের পুরো সময়ে দেশে বৈধপথে রেমিট্যান্স এসেছে ২২২ কোটি (২.২২ বিলিয়ন) ডলার। যা তার আগের বছরের (আগস্ট ২০২৩) একই সময়ের চেয়ে ৬২ কোটি ডলার বেশি। গত বছরের আগস্ট মাসে এসেছিল প্রায় ১৬০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স আসে। এছাড়া জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার। তার আগের মাস মে মাসে আসে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। এছাড়া এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ এবং জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ মার্কিন ডলার পাঠান প্রবাসীরা।

উল্লেখ্য, বিগত দিন গুলোতে হুন্ডির প্রধান রুট হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত ব্যবহৃত হয়ে আসছিলো। সেখানে শত শত প্রতিষ্ঠান গড়ে তার আড়ালে হুন্ডি শুরু করে দেশীয় পাচারকারীরা। পরবর্তী সময়ে গণমাধ্যমে এ নিয়ে খবর প্রকাশ হলে চক্রটির নতুন গন্তব্য হয় ইউরোপের দেশ পর্তুগাল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে গত অর্থবছর থেকেই অস্বাভাবিক হারে রেমিট্যান্স কমতে থাকে। সেই তালিকায় নাম লেখায় যুক্তরাষ্ট্র। গত অর্থবছরে এসব দেশ থেকে রেমিট্যান্সের ধারা ছিলো নিম্নমুখী। কয়েকটি দেশ থেকে আসা রেমিট্যান্স প্রবাহ প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকারের নানামুখী উদ্যোগের পরও এক্ষেত্রে সুফল আসেনি। দেশ থেকে অর্থ পাচারের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় রমরমা ব্যবসায় মাতে হুন্ডিচক্র। প্রবাসী বাংলাদেশিদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসার আগেই পাচার হয়ে যায় অন্য দেশে। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের অর্থনীতি।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, প্রবাসী শ্রমিকদের বেশিরভাগই অবস্থান করেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে। বার্ষিক রেমিট্যান্সের অর্ধেকই আসে সেখান থেকে। রেমিট্যান্স সংগ্রহে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ওমান, কাতার, বাহরাইন, লিবিয়া ও ইরান উল্লেখযোগ্য। কিন্তু ২০২২ সাল থেকে এসব দেশ হতে আসা প্রবাসী আয় আশঙ্কাজনক হারে কমতে শুরু করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠান সৌদি আরবের প্রবাসীরা। ২০২১-২২ অর্থবছরে ওই দেশ থেকে এসেছে ৪৫৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স। কিন্তু এক বছর আগেও এর পরিমাণ ছিল অনেক বেশি।

তথ্য বলছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫৭২ কোটি ডলার পাঠিয়েছিলেন তারাই। এরপর ২০২২-২৩ অর্থবছরে সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স এসেছে মাত্র ৩৭৬ কোটি ডলার। অর্থাৎ দুই বছরের ব্যবধানে ১৯৬ কোটি ডলারের পার্থক্য তৈরি হয়।

মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোতেও রেমিট্যান্সের প্রবাহ ছিলো নিম্নমুখী। ২০২০-২১ অর্থবছরের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে সবকটি দেশ থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে। গত অর্থবছরেও নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত থাকে। তবে ব্যতিক্রম শুধু মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। আলোচ্য সময়ে দেশটি থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ে। দেশটি থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরের রেমিট্যান্স এসেছিল ২০৭ কোটি ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এ অঙ্ক প্রায় ১০০ কোটি ডলার বেড়ে দাঁড়ায় ৩০৩ কোটি ডলারে। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আরব আমিরাত প্রবাসী আয় আসার শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে।

তথ্য বলছে, মধ্যপ্রাচ্যের পর হুন্ডিচক্রের তৎপরতা বাড়ে যুক্তরাষ্ট্রে। কারণ দেশটি বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর শীর্ষ তালিকায় অবস্থান করছে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স এসেছিল ৩৫২ কোটি ডলার। অর্থাৎ মাসে গড় রেমিট্যান্সের প্রবাহ ছিল ২৯ কোটি ডলার। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশটি থেকে রেমিট্যান্সে ধস নামে। প্রতিমাসে গড় রেমিট্যান্স কমে ১০ কোটি ডলার।

খাতসংশ্লিষ্টদের মতে, মালয়েশিয়া, কানাডা, সিঙ্গাপুরসহ বেশ কয়েকটি দেশে পাচারকারীরা বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতারাও রেমিট্যান্স পাচারের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। তাদের অনেকে এক দেশ থেকে রেমিট্যান্সের টাকা সংগ্রহের পর বিনিয়োগ করছেন আরেক দেশের বিভিন্ন খাতে। অনেক ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তি বর্তমানে বিদেশে পরিবারসহ বাস করছেন। তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহসহ ক্ষেত্রবিশেষে বিদেশে তাদের সম্পদ বা ব্যবসা-বাণিজ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন বা চাহিদা তৈরি হয়েছে। তারা এই চাহিদা পূরণ করছেন হুন্ডিচক্রের মাধ্যমে এবং প্রবাসী আয় সংগ্রহ করে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ‘ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রা আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে। প্রণোদনাসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলোও বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। একই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে সব ধরনের অনিয়ম ও কারসাজি বন্ধে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে।’

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্যমতে, গত বছর বিশ্বের ১৩৭টি দেশে বাংলাদেশের ১৩ লাখ ৫ হাজার ৪৫৩ জন কর্মীর কর্মসংস্থান হয়েছে। আগের বছর এ সংখ্যা ছিল ১১ লাখ ৩৫ হাজার। বিএমইটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ তিন মাসে কাজ নিয়ে দেশের বাইরে গিয়েছেন ২ লাখ ৩৬ হাজার ৮৩৭ জন। অর্থাৎ তিন মাসে গড়ে দেশের বাইরে গিয়েছেন ৭৮ হাজার ৯৪৫ জন। ২০২২ সালে প্রতি মাসে বিদেশে গিয়েছেন ৯৪ হাজার ৬৫৬ জন। এ জনশক্তি রপ্তানির ধারা ২০২৩ সাল ছাড়া অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। তবে জনশক্তি রপ্তানিতে মাইলফলক অর্জন সত্ত্বেও সে অনুযায়ী বাড়েনি রেমিট্যান্স প্রবাহ। ২০২৩ সালে রেমিট্যান্স প্রবাহ ৩ শতাংশ বেড়ে হয় ২ হাজার ১৯২ কোটি (২১ দশমিক ৯২ বিলিয়ন) ডলার। আগের বছর যা ছিল ২ হাজার ১২৯ কোটি (২১ দশমিক ২৯ বিলিয়ন) ডলার। সে হিসেবে গত দুই বছর ধরে রেমিট্যান্স প্রবাহ ২২ বিলিয়ন ডলারের নিচে স্থবির হয়ে আছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থ পাচারের নতুন নতুন গন্তব্য খুঁজে পেয়েছে। ইউরোপের দেশ পর্তুগালে অর্থ পাচারের ঘাঁটি গেড়েছে বাংলাদেশের আড়াই হাজার নাগরিকের একটি বিশাল চক্র। নিরাপদে অর্থ সরিয়ে নিতে তারা দেশটির নাগরিকত্বও নিয়েছে। ইতোমধ্যে দেশটিতে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দুবাইয়ের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। বর্তমানে অর্থ পাচারের প্রধান রুট হিসেবে দেশটি ব্যবহৃত হচ্ছে। পাচারকার্য পরিচালনার জন্য দুবাইয়ে ১৩ হাজার প্রতিষ্ঠান খুলেছে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। সেখানে বিনিয়োগ করা হয়েছে ৬৫ হাজার কোটি টাকা। রাজনীতিবিদ ও আমলাদের অর্থ পাচারের বাহক হিসেবে কাজ করছে ব্যবসায়ী গোষ্ঠীগুলো। প্রভাবশালীদের প্রশ্রয়ে আমদানি-রপ্তানির আড়ালে এবং হুন্ডির মাধ্যমে বিপুল অর্থ পাচার করে বিদেশে বিশাল সাম্রাজ্য গড়েছে কয়েকটি শিল্পগ্রুপ।

Share