আবু বকর : অনেক নাটকীয় ঘটনার পর অবশেষে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক তার উর্ধতন বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশে রাতে মান্দার বেড়িয়ার গহীণ অরণ্য থেকে ট্রলার সহ হরিণ শিকারি চক্রকে আটক করেছে। তবে শিকারি চক্রকে রক্ষায় ১০ উদ্ধার তালিকায় শিকারকৃত ১০ হরিণ এবং শিকার সরঞ্জাম না থাকায় পুরো বিষয়টি প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে।বন বিভাগ ট্রলার থেকে ৩জনকে আটকের কথা বললেও তাদের সঙ্গী ৯ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এবিষয়ে গত রতে শিকারি চক্রদের আটকের আগে নয়াবার্তায় “পশ্চিম সুন্দরবনের মান্দার বেড়িয়া এলাকায় ১০টি শিকারকৃত হরিণ সহ শিকারি চক্র লোকালয়ে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে!” শিরনামে খবর প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়,গত বছরের ৬ই জুলাই এর ন্যায় পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের মান্দার বেড়িয়া এলাকায় গাবুরা ও বুড়িগোয়ালীনির একটি সংগবদ্ধ হরিণ শিকারি চক্র হরিণ শিকার করে লোকালয়ে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে। বর্তমানে শিকারি দলটি মান্দার বেড়িয়ার গহীণ অরণ্যে অপেক্ষা করছে। এই খবর আজ সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় সাংবাদিকদের নিকট চলে আসায় বিষয়টি রেঞ্জ কর্মকর্তা এবং বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শিকারি চক্রকে ধরার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছেন বলে জানালেও রেঞ্জ কর্মকর্তা রাগান্বিত স্বরে এ তথ্য ভূয়া বলে উড়িয়ে দেন। উল্লেখ্য গত বছরের ৬ই জুলাই চান্চল্যকর ২২ হরিণ শিকারের তথ্য প্রথমে রেঞ্জ কর্মকর্তাকে জানানো হলেও তিনি গুরুত্ব দেননি। পরে কোস্টগার্ড এবং বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে জানিয়ে শিকারি চক্রদের আটক করা হয়। এ বিষয়ে পরবর্তীতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হলে বিচার বিভাগীয় তদন্তের রুল হয়। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শিকারি চক্র গত ২৫ এপ্রিল একটি দুই সিলিন্ডার ইঞ্জিন চালিত ট্রলার নিয়ে মান্দার বেড়িয়া এলাকায় হরিণ শিকারে গেছে। সূত্র জানায়,পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক এবং স্টেশন কর্মকর্তার সম্মতি নিয়ে চক্রটি হরিণ শিকারে গেছে। সন্ধ্যায় শিকারি চক্রের অবস্থান পুস্পকাটির ওসি মহসীনকে জানানো হলে তিনি সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মান্দার বেড়িয়ার গহীণ অরণ্যে পৌছে শিকারিদের গতিরোধ করে।এসময় শিকারি দল মহসীনকে জানান, ট্রলারটি স্থানীয় সাংবাদিক হালিমের এবং এ বিষয় এসিএফ ও এসো অবগত আছেন্।তখন মহসীন তাদের ছেড়ে দিয়েছেন। এই প্রতিবেদক রাতে বিষয়টির বিস্তারিত পশ্চিম সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে জানালে তিনি জানান যে, ইতিমধ্যে তিনি এ বিষয়ে অবগত হয়ে শিকারি চক্রকে ধরার জন্য সহকারি বন সংরক্ষক ও স্টেশন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরো জানান যে, পুস্পকাটির ওসি মহসীনকে তিনি নেটওয়ার্কের মধ্যে পাচ্ছেন না বিধায় তাকে কোন নির্দেশনা দিতে পারছেন না।